
বাম ও কংগ্রেস শিবির সূত্রে জানা যাচ্ছে, কলকাতা পুরভোটে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বোঝাপড়া বা জোট হয়নি। শুক্রবার মনোননয়পত্র প্রত্যাহারের পর দেখা যাচ্ছে, ৩৩টি ওয়ার্ড আছে যেখানে কোনটিতে বাম প্রার্থী আছে, কংগ্রেস নেই, কোনওটাতে ঠিক উল্টো চিত্র। ঠিক হয়েছে ওই ওয়ার্ডগুলিতে দুই শিবিরের অলিখিত বোঝাপড়া থাকবে। প্রচার থেকে বুথ মোকাবিলা, এক শিবির আর শিবিরের পাশে থাকবে। বিশেষ করে দুই শিবিরের জয়ের সম্ভাবনা আছে এমন প্রার্থীদের ব্যাপারে নেতৃত্ব বাড়তি নজর রাখছে। যেমন উত্তরে কংগ্রেসের প্রভাবশালী প্রার্থী সন্তোষ পাঠক, প্রকাশ উপাধ্যায়, দক্ষিণে সিপিএমের চয়ন ভট্টাচার্যর ওয়ার্ড।
এমন বোঝাপড়ার কথা একপ্রকার স্বীকারও করেছে দুই শিবির। সিপিএমের এক বর্ষীয়ান নেতার কথায়, এই কৌশল নতুন নয়। বিজেপির উত্থানের পর থেকেই বামেরা এইভাবে কংগ্রেসের পাশে আছে। জোট ভাবনাই বরং নতুন কৌশল। অন্যদিকে, কংগ্রেসও বাংলার বাইরে বামেদের শক্তিশালী এলাকায় বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই করেছে অতীতে।
দুই শিবিরের এই বোঝাপড়াকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। জোড়াফুল শিবিরের বক্তব্য, সিপিএম এখনও বুঝতে পারছে না কংগ্রেসের হাত ধরে তারা নিজেদের নিশ্চিহ্ন করার পথে এগচ্ছে। কংগ্রেসও বিজেপির বিরোধিতা ছেড়ে তৃণমূলকে নিশানা করেছে। এরপর ওদের স্থান হবে জাদুঘরে। রাজ্য বিধানসভায় শূন্য হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত, পুরসভাতেও না থাকার মতো। এবার কলকাতা পুরসভাতেও নিশ্চিহ্ন হবে। বাম-কংগ্রেস দুই দলকেই তৃণমূল বিজেপির বি-টিম বলে আক্রমণ করেছে।
তৃণমূলের অভিযোগ খণ্ডন করে সংবাদমাধ্যমে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, আমাদের লক্ষ্য বিজেপি এবং তৃণমূল দুই শক্তিকেই পরাস্ত করা। এই লক্ষ্য সামনে রেখেই লড়াইয়ের কৌশল ঠিক হয়েছে। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতর বক্তব্য, কংগ্রেস যেখানে প্রার্থী দেয়নি সেখানে আমাদের ভোটারদের বিজেপি-তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে বলছি।