
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এভাবেও ফেরা যায়! ভারতীয় ফুটবলে এক সোনালি ইতিহাসের সাক্ষি থাকলেন লক্ষ্নীকান্ত কাট্টিমানি (Laxmikant Kattimani)। ছয় ফুটের ওই গোলরক্ষকের নাম শুনলে মনে হবে, তিনি হয়তো দক্ষিণ ভারতীয়, কিন্তু কাট্টিমানি আদতে গোয়ার (Goa) ভূমিপুত্র।
রবিবার হায়দরাবাদ এফসি-কে (Hyderabad FC) আইএসএল চ্যাম্পিয়ন (ISL Champion) করার মূলে রয়েছেন এই দীর্ঘকায় গোলরক্ষক। যিনি একটা সময় গোয়ার ভিলেন ছিলেন। ২০১৪ সালে ডেম্পো স্পোর্টস ক্লাবের হয়ে সাত গোল হজম করেছিলেন তিনি।
Shakib Al Hasan: মা ও তিন সন্তান হাসপাতালে, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দ্রুত দেশে ফিরছেন শাকিব
কাট্টিমানিকে সেইসময় কেউ দলে নিতে চাইতো না। ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় মোহনবাগানের হয়ে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে পাঁচ গোল হজম করেছিলেন একাই। তারপর সোনালি প্রত্যাবর্তন করে দেশের সেরা গোলরক্ষক হয়েছিলেন।
ভাস্করও সেইসময় ভারতীয় ফুটবলে কালো তালিকাভুক্ত ছিলেন। তাঁকে ফের আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছিলেন কোচ পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। কাট্টিমানিকে আবারও ছন্দে আনার পিছনে অবদান রয়েছে গোয়ার নামী কোচ আর্মান্দো কোলাসোর। তিনিই কাট্টিমানির পথপ্রদর্শক।
শুধু তাই নয়, ওইবছরই আইএসএল ফাইনালে এফসি গোয়ার জালে নিজেই বল জড়িয়ে দিয়ে ভিলেন হয়ে গিয়েছিলেন। কাট্টিমানির নামে অপবাদ হয়ে গিয়েছিল, গোল আটকানোর চেয়ে বেশি গোল খান।
সেই অভিজ্ঞ গোলরক্ষক যখন রবিবার কেরলের বিপক্ষে একের পর এক সেভ করে স্বপ্নের নায়ক হলেন, সেইসময় সবাই বলছিলেন, এভাবেই ইতিহাস লেখা হয়।
শেষ চারবছরে বহুবার দল বদল করেছিলেন কাট্টিমানি। শুরু করেছিলেন ডেম্পোতে, তারপর সেখান থেকে লোনে গিয়েছিলেন এফসি গোয়ায়। ২০১৭ সালে মুম্বই এফসি-তে যোগদান করেন। তারপর হায়দরাবাদ এফসি-তে যোগ দিয়েই ইতিহাস গড়লেন। টাইব্রেকার শুটআউটে তিনটি সেভ করেছেন তিনি। তখনই ম্যাচের ফয়সালা হয়ে গিয়েছিল।