
বুধবার মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই অশ্বিনী বলেন, “ভারতের প্রত্যেক নাগরিক এবং এদেশে যাঁরা বাস করছেন, তাঁদের সকলকেই আইন মেনে চলতে হবে।” গত ২৫ মে থেকে দেশে নতুন তথ্যপ্রযুক্তি আইন চালু হয়। তাতে বলা হয়েছিল, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে গ্রিভান্স রিড্রেসাল এবং নোডাল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগ করতে হবে। প্রাক্তন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদের আমলে টুইটারের সঙ্গে সরকারের দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছায়।
সেই সময় তৎকালীন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদের টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হয়েছিল। একটি টিভি চ্যানেলের বিতর্কে নিজের বক্তব্যের ক্লিপ টুইটারে পোস্ট করেন মন্ত্রী। অভিযোগ, এর ফলে মন্ত্রী কপিরাইট আইন ভঙ্গ করেছিলেন।
জুনের শেষে সরকারের সঙ্গে টুইটারের আর একদফা বিরোধ শুরু হয়। ভারতে মানচিত্র থেকে জম্মু কাশ্মীর আর লাদাখকে বাদ দিয়ে দিয়েছিল টুইটার। টুইটারে ভারতের একটি মানচিত্রে এমন অদ্ভুত ছবি দেখে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। কেন্দ্র সরকারের তরফে টুইটারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, মনে করা হচ্ছিল তেমনটাই। কিন্তু তার আগে সক্রিয় হয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তারা টুইটারের ভারতীয় প্রধান মনীশ মহেশ্বরীকে আটক করে। জানা গিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন বজরং দলের জনৈক নেতা। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে মনীশ মহেশ্বরীকে।
টুইটারের ‘টুইপ লাইফ’ অংশে বিতর্কিত এই মানচিত্রটি ছিল। সেখানে ভারতের সীমানার বাইরে রাখা হয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে। তাদের স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে দেখানো হয়েছিল। জনৈক টুইটার ব্যবহারকারী এই বিতর্কিত মানচিত্রটি সামনে আনেন। তাঁর টুইটে অনেকেই ক্ষোভের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কমেন্ট বাক্সেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নেটিজেনরা। তারপরেই গতকাল সন্ধের দিকে ওই মানচিত্র সরিয়ে দেয় টুইটার।
সূত্রের খবর, ২০০৮ সালের তথ্যপ্রযুক্তি সংশোধিত আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৫ (২) ধারায় টুইটারের ভারতীয় প্রধানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। এছাড়া ওই এফআইআরে অমৃতা ত্রিপাঠী নামক টুইটারের আরও এক কর্মীর নামও রয়েছে।