
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২২ বছর আগের কথা। ২০১০ সালে মার্কিন তারকা লেডি গাগা প্রথম শিরোনামে আসেন অদ্ভুত এক দাবি নিয়ে। তিনি জানান, এক ভূত তাঁর পিছু নিয়েছে। তিনি যেখানেই যাচ্ছেন, সঙ্গে সঙ্গে চলেছে সেও। বড্ড বিরক্তও করছে তাঁকে সারাদিন।
লেডি গাগা অশরীরী সেই আত্মার নাম জানিয়েছিলেন রিয়ান। কেন রিয়ানের ভূত তাঁকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে তা তিনি জানতে পারেননি। তবে সেই ভূতকে সায়েস্তা করার ব্যবস্থা করেছিলেন মার্কিন সঙ্গীত শিল্পী। ৫০ হাজার ডলার খরচ করে কিনে ফেলেছিলেন একটি অভিনব যন্ত্র। সে যন্ত্র দিয়ে নাকি চিনে ফেলা যায় অশরীরী আত্মাদের। খুঁজে বের করা যায় ভূতকে।
লেডি গাগার সেই ভূত ধরার যন্ত্রটির নাম ছিল ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফিল্ড মিটার। একে ঘোস্ট ডিটেক্টরও বলে। এই যন্ত্রের সাহায্যে নাকি আশপাশের আত্মা শনাক্ত করে ফেলা যায় নিমেষের মধ্যে। লেডি গাগা জানিয়েছেন রিয়ান নামের ওই ভূত তাঁকে দিনরাত বিরক্ত করে। কোনও কনসার্টেও পিছু নেয় সে। সেই ভূতের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যেই ওই যন্ত্র তিনি কিনেছেন।
এখানেই শেষ নয়, ভূত তাড়াতে প্যারানর্মাল বিশেষজ্ঞদের একটি টিমকেও নিয়োগ করেছিলেন লেডি গাগা। তাঁর প্রতি কনসার্টের আগে ওই বিশেষজ্ঞ দল কনসার্টস্থল পরিদর্শন করত, তাঁদের সবুজ সংকেত মিললে তবেই গান গাইতে রাজি হতেন শিল্পী।
বরাবরই ভূত-প্রেতে বিশ্বাস করেন লেডি গাগা। তিনি প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন, তাঁর মৃতা দিদিমা তাঁর রূপ নিয়ে আবার জন্মেছেন।