
কর্তৃপক্ষের দাবি, কলেজের মূল ফটকে এমনটা হয়নি। যেখান থেকে নামের অক্ষর গায়েব হয়ে গেছে সেটা আসলে দ্বিতীয় গেট। সেখান দিয়ে খুব একটা যাতায়াত করাই হয় না। তাই এমন কাণ্ড কারও চোখে পড়েনি এর আগে।
লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের প্রিন্সিপাল শিউলি সরকার জানিয়েছেন, তিনি আজই দেখলেন এমনটা। গেট থেকে মেটালের ওই অক্ষরগুলি কেউ বা কারা চুরি করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে বেনিয়াপুকুর থানায় তিনি এফআইআরও করেছেন। সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে অপরাধীকে ধরা সম্ভব বলে মনে করছেন তিনি।
শিউলি সরকারের কথায়, “কয়েকটা লেটার, খুব হেভি মেটাল দিয়ে তৈরি, লোকে পেট চালানোর জন্য চুরি করেছে বলে আমার বিশ্বাস। তার ফলে কী দাঁড়াল, তাই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুৎসা করা হলে আমার কিছু বলার নেই। আমাদের কাছে এটা চুরি, সেটা খুবই চিন্তার বিষয়। আমি আজই পিডব্লিউডি-র অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ করব, নামটা ঠিক করার জন্য। অনুরোধ করব, অক্ষরগুলো এমনভাবে বসাতে, যাতে তা আর খোলা না যায়। প্যানডেমিকের সময়ে কলেজ বন্ধ, এই সময়ে এটা ঠিক করা একটু সময়সাপেক্ষ।”
দেখুন ভিডিও।
কিন্তু এত বড় একটা কলেজের নামে এমন অক্ষর বিভ্রাট নিয়ে চর্চা থামছে না। মেয়েদের অন্তর্বাসের নামে কলেজের দরজায় ফুটে ওঠা এই অক্ষর কটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঠাট্টা-তামাশা চলছেই। স্থানীয়রাও বলছেন দ্রুত এই ভুল ঠিক করে নেওয়া উচিত।
এমন ঘটনায় অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছেন কলেজের কর্মীরাও। সকলেই জানাচ্ছেন, এমনটা যে হয়েছে আগে কেউ টের পাননি ঘুণাক্ষরেও।
ব্রিটিশ ভারতে বাংলার গর্ভর্নর ছিলেন লর্ড ব্রেবোর্ন। তাঁর স্ত্রীর নামে পার্ক সার্কাসের এই মেয়েদের কলেজটি খোলা হয়েছিল ১৯৩৯ সালে। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত শহরের নামজাদা কলেজের তালিকায় প্রথম সারিতেই থাকে ব্রেবোর্ন। বর্তমানে তা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত। কলেজের গেটে নাম-বিভ্রাট দ্রুত সারিয়ে ফেলা হবে বলেই মনে করছে সকলে।