
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শনিবার সন্ধে থেকেই খবরটা ভাসছিল। পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) নিয়ে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) যে মন্তব্য করেছিলেন সেই কারণে দল (TMC) নাকি তাঁকে সেন্সর করেছে। অর্থাৎ কুণালের মুখে কুলুপ এঁটে দিয়েছে কালীঘাট। সে ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রবিবার সকালে কুণাল পকেট থেকে একটা বোরোলীনের টিউব বের করে দেখিয়ে বলেছেন, “আমি বোরোলীন মেখে ঘুরি। জীবনের কোনও ওঠাপড়াই আমার গায়ে লাগে না।”
একটু পিছনের দিকে হাঁটা যাক! বেশি দূর যেতে হবে না। কয়েক মাস আগের কথা। সল্টলেকের এমপি-এমএলএ আদালতে এই কুণালই পার্থর নাম না করে বলেছিলেন, এসব চোরকে ঘাড় ধরে জেলে ঢোকানো উচিত।
যখন এই কথা কুণাল বলেছিলেন তখন শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি তদন্তে পার্থকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। আর এখন সেই মামলাতেই ইডি গ্রেফতার করেছে প্রাক্তন শিক্ষা ও শিল্পমন্ত্রীকে।
সেই সময়েও কুণালকে দল থামতে বলেছিল। তারপর কয়েকদিন চুপচাপ থাকলেও ফের বলা শুরু করেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ। এবার দল সেন্সর করেছে বলে খবর। এও শোনা যাচ্ছে দলের মুখপাত্র পদ থেকেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রবিবার কুণালের পাড়া সুকিয়া স্ট্রিটের পুজোর খুঁটিপুজো ছিল। তারপরে সাংবাদিকরা তাঁকে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বোরোলীন প্রসঙ্গ আনেন।
একটা সময়ে এই কুণালই বার্নল দেখিয়েছিলেন বিরোধীদের উদ্দেশে। বক্তব্য ছিল, তৃণমূলের উথ্থান দেখে যাঁদের জ্বলছে তাঁরা যেন বার্নল লাগিয়ে নেন। এদিন কুণাল দ্য ওয়ালকে বলেন, “বার্নল, বোরোলীন- এগুলো হল ফার্স্ট এড ইকুইপমেন্ট। হাতের কাছে রাখতে হয়! কখন প্রয়োজন হয় কেউ বলতে পারে না।”
কুণাল এদিন কোনও রাজনৈতিক প্রশ্নেরই উত্তর দেননি। তাঁকে যখন জাতীয় রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, তিনি সূত্রধর হয়ে সাংবাদিকদের বলেন, লোকসভা ও রাজ্যসভার নেতারা এ ব্যাপারে ভাল বলতে পারবেন। আবার পার্থ নিয়ে প্রশ্ন করতেই তাঁর তুরন্ত জবাব, পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গে আমি একটা শব্দও বলব না। অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই তলব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কুণাল বলেন, দলের কোন নেতা এটা নিয়ে ভাল বলতে পারবেন সেটা জেনে জানিয়ে দেব। তবে বারবার একটা কথা কুণাল বলেছেন। তা হল, “আমি তৃণমূল কংগ্রেসের কঠিন দিনের সৈনিক। একজন শৃঙ্খলাপরায়ণ সৈনিক হিসেবে দলে ছিলাম, আছি, থাকব।”
চুম্বকে- আপাতত কুণালের মুখে কুলুপ, পকেটে বোরোলীন!