
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সর্বজনীন দুর্গাপুজোকে (Durga Puja) বিশ্বজনীন করার ভাবনা নিয়ে নতুন স্লোগান #দুর্গাপুজোগোগ্লোবাল। বাংলা ও বাঙালির প্রাণের পুজোকে আন্তর্জাতিক স্তরে তুলে ধরার ভাবনা নিয়ে আলোচনাসভার আয়োজন করে টালা প্রত্যয়। সেখানে ‘পুজো গো গ্লোবাল’ ভাবনায় সম্মতি দেন কলকাতা পুরসভার পুরপ্রশাসক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। দুর্গাপুজো বিশ্বের দরবারেও বন্দিত হবে, এই পুজোর ঐতিহ্য, আর্থ-সামাজিক প্রভাবকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে দিতেই টালা প্রত্যয় পুজো কমিটির এই আলোচনাসভা মাতিয়ে দেন একঝাঁক তারকাও।
শনিবার সন্ধেয় এই আলোচনাসভায় যোগ দেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অভিনেত্রী সোহিনী সরকার সহ বিশিষ্ট জনেরা। কলকাতার বিভিন্ন পুজো কমিটির উদ্যোক্তারাও উপস্থিত ছিলেন এই আলোচনাসভায়। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন চিকিত্সক কুণাল সরকার।
দুর্গাপুজো এখন আর শুধু বাংলায় সীমাবদ্ধ নয়। ভিন রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে পাড়ি দিয়েছে বিদেশেও। প্রবাসী বাঙালিদের সংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে উঠেছে দুর্গাপুজো। সর্বজনীন এই উৎসবের ঐতিহ্য বিশ্বের কোণায় কোণায় পৌঁছে দিতে কী পরিকল্পনা করা হতে পারে সে নিয়েই আলোচনা হয় টালা প্রত্যয়ের সান্ধ্য বৈঠকে। কমিটির সদস্যরা বলেন, দুর্গাপুজোর গ্রহণযোগ্যতা এবং স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যেতে হবে। দুর্গোৎসব শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, মহাদেশগুলিতে, যেখানে বাঙালিরা রয়েছেন, সেখানেও অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে পালিত হয়। এই উৎসব বিশ্বব্যাপী বাঙালিদের হৃদয়কে সংযুক্ত করে।
আলোচনাসভায় নিজেদের চিন্তাভাবনা ভাগ করে নেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের ও বিভিন্ন পেশার বিশিষ্টজনেরা। প্যানেলে যে সমস্ত বক্তা তাঁদের বক্তব্য রাখেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের ডিরেক্টর ডঃ দেবাঞ্জন চক্রবর্তী, বাংলা নাটক ডট কম-এর ডিরেক্টর অনন্যা ভট্টাচার্য, স্থপতি সায়ন্তন মৈত্র, ললিত গ্রেট ইস্টার্নের জেনারেল ম্যানেজার শ্রী দিলীপ মিশ্র সহ অনেকে। প্যানেলে ছিলেন টলিউডের অভিনেত্রী সোহিনী সরকারও।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, উৎসবের শক্তিশালি সম্ভাবনাকে একটি গ্লোবাল ইভেন্ট করে তুলতে হবে। কীভাবে এই উৎসবের মাধ্যমে মানুষের জন্য রাজস্ব আদায় হতে পারে তারও রূপরেখা তৈরি করতে হবে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা দেবাঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, প্রতিমা শিল্পী, ঢাকি, স্থপতি-ভাস্কর থেকে রেস্তোরাঁ, নানা ক্ষুদ্র শিল্পের প্রসারও হয় দুর্গাপুজোকে ঘিরে। বিদেশি পর্যটকরা আসেন, কাজেই পর্যটন শিল্পও জড়িয়ে। দুর্গাপুজোকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যেতে পারলে আরও বেশি বিদেশি পর্যটকদের টেনে আনা যাবে। ঐতিহ্য-সংস্কৃতির সঙ্গে শিল্প ও লোকশিল্পের প্রসার ও প্রচারও হবে।