Latest News

চিন্তা এখন হাজিরাই, স্কুল শেষে বাঁধন হারা পড়ুয়ারা, কলেজে ক্লাসও মাস্কহীন

দ্য ওয়াল ব্যুরো: দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান শেষে মঙ্গলবার রাজ্যে শিক্ষাঙ্গন (educational institutions) খুলেছে।  রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালযইয় প্রথম দিন হাজিরা (attendance) বেশ সন্তোষজনক ছিল। করোনাভীতি (coronavirus) কাটিয়ে মোটের উপর ৭০ শতাংশ পড়ুয়া হাজির হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দিন থেকেই হাজিরা ঘিরে করোনা নিয়ে দুশ্চিন্তা গ্রাস করেছে সংশ্লিষ্ট সব মহলে। এদিন হাজিরা ছিল মোটের উপর সন্তোষজনক। আর তা নিয়েই বাড়ছে দুর্ভাবনা।

মঙ্গলবার স্কুল পড়ুয়ারা করোনার ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতনতার পরিচয় দিলেও কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় (college) (university) ততটা ছিল না।  বুধবার দ্বিতীয় দিনের হাজিরাই চিন্তায় ফেলেছে সব মহলকে।

এদিন দেখা গিয়েছে স্কুলে প্রবেশের সময় আগের দিনের মতোই কড়াকড়ির কোনও ফাঁক নেই। মঙ্গলবারের মতোই স্কুলের গেটে তাপমাত্রা মাপা হয়েছে। ছেলেমেয়েরা মাস্ক (mask) পরেছে কিনা সেদিকে নজরদারি ছিল পুরোমাত্রায়। ছিল স্যানিটাইজার (sanitizer) দেওয়া ব্যবস্থা। কিন্তু চিন্তা বাড়াচ্ছে ছুটি। ছুটির ঘণ্টা বাজতেই দেখা যাচ্ছে গেটের বাইরে অপেক্ষমাণ বাবা-মায়ের কাছে যাওয়ার আগে ছেলেমেয়েরা দলবদ্ধ হয়ে গল্প জুড়ে দিচ্ছে এবং তখন করোনা বিধি মানার বালাই থাকছে না। কারও মুখে মাস্ক থাকছে না। একটি কেন্দ্রীয় বোর্ডের অধ্যক্ষা বলেন, আমরা প্রথম দিনই বলে দিয়েছিলাম, ছুটি মানে স্কুলের গেট পেরোনো নয়। বাড়ি পৌঁছলে তবেই ছুটি। ততক্ষণ পরে থাকতে হবে মাস্ক। মানতে হবে দূরত্ববিধি। কিন্তু ছেলেমেয়েরা তা না মানলে স্কুলের কিছু করার থাকছে না। ওই শিক্ষিকা বলেন, ছাত্রছাত্রীদের এই বয়সে হয়তো ওটাই স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। বাবা মেয়েদের আরও বোঝাতে হবে করোনার বিপদ।

কলেজের চিত্র আরও ভয়াবহ। সেখানে ক্লাসেও ছেলেমেয়েদের অনেকে মাস্ক পরছে না। মধ্য কলকাতার একটি কলেজের শিক্ষক বলেন, আমি নিজে ক্লাস নেওয়ার সময় ওই দৃশ্য দেখে মোবাইল দেখার ছলে ছবি করে প্রিন্সিপালকে পাঠিয়ে দিয়েছি। প্রিন্সিপাল ক্লাসে ক্লাসে গিয়ে বুঝিয়েছেন। কিন্তু ছেলেমেয়েরা কথা কানে তুলছে না। করোনা আসার আগে যেভাবে ছেলেমেয়েরা মেলামেশা করত সেভাবেই গল্প আড্ডায় মাতছে সব।

মধ্য কলকাতারই আর একটি কলেজে এদিন এক ক্লাসে একশোর বেশি পড়ুয়া ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ৪০ জনের বেশি এক ঘরে বসার কথা। পড়ুয়ারা নিয়ম মানতে চায়নি। এই পরিস্থিতিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার বৈঠক ডেকেছে কীভাবে ছেলেমেয়েদের ক্লাসে বিধি মানানো যায়।একটি কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, সরকারের উচিত ছিল আপাতত ইউনিয়ন রুম খুলতে না দেওয়ার কথা করোনা বিধিতে বলে দেওয়া। এছাড়া ইউনিয়ন সংক্রান্ত কাজকর্মও এখন বন্ধ রাখতে বলা উচিত ছিল। কলেজগুলিতে নির্বাচিত ছাত্র সংসদ না থাকলেও ইউনিয়নের দাপাদাপি শুরু হয়ে গেছে। তার ফলেই করোনা বিধি শিকেয় উঠেছে।

You might also like