
এবছর লক্ষ্যনীয় হল, রাখির বাজারেও কলকাতার বোনেরা ‘বাংলার মেয়ে’কেই বেছে নিচ্ছেন। শুক্রবার সন্ধেয় বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, দিনভর লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে অনেক পিছিয়ে নরেন্দ্র মোদী।
ইদানীং প্রায় সব ধর্মীয় অনুষ্ঠানেই রাজনৈতিক দ্বৈরথ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এবার রাখিকেও রাজনৈতিক বার্তা দেওয়ার মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চলেছে যুযুধান দুই দল। তাই বাজারে পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে সবুজ আর গেরুয়া রঙের রাখি। সবুজ প্যাকেটে লেখা ‘মা-মাটি-মানুষ’। আর গেরুয়া প্যাকেটের গায়ে লেখা ‘জয় শ্রীরাম’।
তবে বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া সবুজ সুতোর রাখির চাহিদা তুলনায় বেশি। পাশাপাশি ঢালাও বিক্রি হচ্ছে তৃণমূলের প্রতীক জোড়াফুল দেওয়া রাখিও।
পদ্মফুলের ছবি দেওয়া ‘জয় শ্রীরাম’ রাখি একেবারে যে কেউ নিচ্ছে না, তা নয়। তবে তার চাহিদা সবুজের চেয়ে অনেক কম। তবে বাজার তন্নতন্ন করে খুঁজেও কাস্তে-হাতুড়ি শোভিত লাল সুতোর রাখির সন্ধান মেলেনি।
চাঁদনী চকে প্রচুর রাখির দোকান পসরা সাজিয়ে বসে প্রতি বছর। এদিন সেখানে গিয়ে দেখা গেল, তৃণমূলের প্রতীক ঘাসফুল ও বিজেপির পদ্মফুলের ছবি দেওয়া রাখি বিক্রি হচ্ছে। সেইসঙ্গে মিলছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ বসানো রাখি। দাম একই। ছ’টি রাখির এক প্যাকেটের দাম ১৫ টাকা।
প্রশান্ত মান্না নামে নামে এক রাখি বিক্রেতা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বাজার একটু মন্দা। তবে রাজনীতির দড়ি টানাটানি সেই খামতি কিছুটা পুষিয়ে দিচ্ছে। মমতা-মোদীর মুখ বসানো গুচ্ছ গুচ্ছ রাখি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন দুই দলের ছোট-মাঝারি নেতারা। পদ্মফুলের থেকে বিক্রি বেশি ঘাসফুল ও মমতা রাখির।
হ্যান্ডমেড রাখির পসরা নিয়ে বসেছিলেন আদিত্য। বললেন, ‘করোনার জন্য বাজার খারাপ। লোকাল ট্রেনও চলছে না। তাই এ বছর বিক্রি কম।’
সুধীর জানালেন, ‘আগে রাস্তায় বহু সংগঠনের তরফে রাখিবন্ধন হত। দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে এ বছর তা প্রায় বন্ধ। তাই বিক্রি কিছুটা কম।’