
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বেঙ্গালুরু পুলিশের তরফে কলকাতা পুলিশের কাছে খবর আসে যে বাংলাদেশ থেকে কলকাতা হয়ে দক্ষিণ ভারতে নারী পাচার করা হচ্ছে। খবর পেয়ে তৎপর ছিল কলকাতা পুলিশ। রবিবার মধ্য কলকাতার পোস্তার বড়তলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় আদতে ওড়িশার বালেশ্বরের বাসিন্দা প্রফুল্লকে। সে এই নারী পাচার চক্রের অন্যতম পান্ডা বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রফুল্লর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ভারতে কাজের সন্ধানে আসা অনেক তরুণীকে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। কয়েক মাস আগেই প্রথম এই পাচার চক্রের হদিশ পাওয়া যায়। বেঙ্গালুরুর একটি ফ্ল্যাট থেকে কয়েকজন তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ। তারা জানায়, তাদের জোর করে দেহ ব্যবসায় নামানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজন পশিমবঙ্গ ও একজন বাংলাদেশের তরুণী ছিল বলে খবর।
উদ্ধার হওয়া তরুণীরা পুলিশকে জানায়, প্রফুল্ল নামের এক যুবক প্রথমে তাদের প্রেমের ফাঁদে ফেলত। তারপর তাদের বলত সে বেঙ্গালুরুতে ভাল চাকরি করে। তরুণীদেরও চাকরি দেওয়ার নাম করে বেঙ্গালুরু- সহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে নিয়ে গিয়ে পাচার চক্রের অন্যদের হাতে তুলে দিত প্রফুল্ল। তারপরে তাদের জোর করে দেহ ব্যবসায় নামানো হত।
প্রফুল্লর সন্ধান করতে প্রথমে ওড়িশার বালেশ্বরে যায় বেঙ্গালুরু পুলিশ। কিন্তু আগেই সেখান থেকে সে পালায়। কিছুদিন আগেই গোপন সূত্রে বেঙ্গালুরু পুলিশের কাছে খবর আসে, কলকাতায় রয়েছে সে। আরও অনেক তরুণীকে পাচার করার ফন্দি করছে। খবর পেয়েই তারা কলকাতা পুলিশকে সবটা জানায়। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় প্রফুল্লকে। জেরায় নিজের অপরাধের কথা সে স্বীকার করেছে বলে জানা গিয়েছে। এই রাজ্যে তার জাল কতদূর ছিল সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
কলকাতা পুলিশ প্রফুল্লকে বেঙ্গালুরু পুলিশের হাতে তুলে দেবে বলে জানা গিয়েছে। তাকে জেরা করে চক্রের অন্যদের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাকিদের খোঁজ পেলে একটা বড় নারী পাচার চক্রকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।