
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার সকাল থেকে লিফটের কাছে দুর্গন্ধ বেরাতে শুরু করে। তখন হাসপাতালের অন্য নিরাপত্তারক্ষী ও কর্মীরা গন্ধের উৎস অনুসন্ধান করতে গিয়ে লিফটের গর্তে দেহটি দেখতে পান। জানা গিয়েছে, ওই নিরাপত্তারক্ষীর নাম নারায়ণ কুণ্ডু। একটি বেসরকারি সংস্থার হয়ে ওই হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন তিনি। রবিবার রাতে ডিউটি ছিল তাঁর। সোমবার সকাল থেকেই তাঁকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। হাসপাতালের তরফে বিধাননগর ( দক্ষিণ ) থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়।
দেহ উদ্ধারের পর সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় থানায়। এসে উপস্থিত হয় বিধাননগর ( দক্ষিণ ) থানার পুলিশ। আসেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও। পুলিশ জানিয়েছে, দেহটি এতটাই পচে গিয়েছে যে কোনও আঘাতের চিহ্ন বোঝা যাচ্ছিল না। দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে ফরেন্সিক দলও।
ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক অনুমান, ওই গর্তে ঝাঁপ মারলে কেউ মারা যাবে না। একমাত্র সেখানে আটকে গেলে দমবন্ধ হয়ে কারও মৃত্যু হতে পারে। কিন্তু অসাবধানতায় নারায়ণবাবু সেখানে আটকে গেলে তো চিৎকার করতেন। অথচ কেউ কোনও আওয়াজ শোনেননি। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যদি কেউ খুন করে দেহটি সেখানে ফেলে থাকে, তাহলেও অবশ্য কেউ জানতে পারবে না।
পুলিশ সূত্রে খবর, লিফটের চাবি একমাত্র নিরাপত্তারক্ষীদের কাছেই থাকে। কোনও কারণে লিফটের মধ্যে কেউ আটকে গেলে সেই চাবি দিয়ে খুলে তাঁকে বের করে আনা হয়। সেই চাবি দিয়ে খুলে দেহ সেখানে ফেলা হতে পারে। কিন্তু সবার চোখ এড়িয়ে সেটা কখন হল, তা নিয়ে চিন্তায় পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে অবশ্য সবটা বোঝা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা। হাসপাতালের অন্য নিরাপত্তারক্ষী থেকে কর্মী, সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।