
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই ছবিটা দেখা গিয়েছিল। পার্কস্ট্রিট, বো ব্যারাকে লোকের ভিড়। সেই ভিড় আরও কয়েকগুণ বাড়ল বড়দিনে। বুধবার বিকেলের পর থেকেই জমজমাট পার্কস্ট্রিট। দলে দলে লোক চলেছেন সেইদিকে। শহরের সব রাস্তার গন্তব্য যেন একটাই। রাত যত বাড়ছে, তত ভিড়ের পরিমাণ বাড়ছে।
আলো-ঝলমলে পার্কস্ট্রিটে চারদিকে শুধুই মানুষের মাথা। প্রতি বছর যেন এই উন্মাদনা আরও বাড়ে। কেউ মাথায় বাহারি টুপি, তো কেউ আবার চশমা পরেছেন। বাচ্চারা অবশ্য বেশি পছন্দ করছে হরিণের কিংবা বিড়ালের শিঙের মতো টুপি। কেউ বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে দলবেঁধে হুল্লোর করছেন, তো কেউ গিয়েছেন পরিবারের সঙ্গে। আবার কেউ নিজের প্রিয়জনের সঙ্গে।
পার্কস্ট্রিট, বো ব্যারাক এলাকার রেস্তোরাঁ, পাব, নাইটক্লাবে তিল ধারনের জায়গা নেই। বাইরে পড়েছে বিশাল লাইন। বেশ কিছু জায়গায় অনুষ্ঠান চলছে। সেগুলো দেখতেও গিয়েছেন অনেকে। ক্লাব, রেস্তোরাঁর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভিড় রয়েছে রাস্তার পাশের ফুচকা, পাপড়ি চাট কিংবা রোলের দোকানেও। সব মিলিয়ে জনজোয়ারে ভাসছে কলকাতার প্রাণকেন্দ্র।
আমজনতাকে নিরাপত্তা দিতে তৈরি কলকাতা পুলিশও। উদ্দেশ্য একটাই, উৎসবের দিনে শহরে যেন শান্তি বজায় থাকে। কেবলমাত্র পার্কস্ট্রিট চত্বরের দায়িত্বে রয়েছেন ৫ জন ডিসি। এছাড়াও সারা শহর জুড়ে বিশেষ করে পার্কস্ট্রিট এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টিম। রয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশ এবং মহিলা পুলিশের বিশেষ টিমও। রয়েছে মহিলা পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী ‘ওয়ারিয়র্স’। পার্কস্ট্রিট এলাকায় বসানো হয়েছে ১১টি ওয়াচ টাওয়ার। সেখান থেকে ক্রমাগত নজরদারি চালাচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা। এছাড়াও সিসিটিভি বসানো হয়েছে পার্কস্ট্রিটের আনাচে-কানাচে। কম্পিউটারের মনিটরে চোখ রেখে প্রতি মুহূর্তে নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ।
বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোররাত অবধি শহর জুড়ে চলেছে এই ধরপাকড়। নানাভাবে আইনবিরুদ্ধ কাজ করেছেন গ্রেফতার হওয়া ১৭২৬ জন। কেউ মদ্যপান করে গাড়ি চালিয়েছেন। কেউবা হেলমেট ছাড়া বাইক। অভব্য আচরণের জন্যও গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।