
মেট্রোর কোনও রেক নয়। লাইনে ট্রায়ালের জন্য যে চাকা লাগানো ট্রলি থাকে তা নিয়েই চলল একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের মহড়া। হাওড়া ময়দান থেকে ট্রলি রেক চলল এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত। হাওড়া ময়দান থেকে ডিআরএম বিল্ডিং পর্যন্ত আসতে সময় লাগল দেড় মিনিটের বেশি। তারপর শুরু হল গঙ্গার নীচের সুড়ঙ্গ!
মায়ের গয়না চুরি করে দেদার পার্টি, ছেলেকে পাকড়াও করে থানায় নিয়ে গেল বাবা
ভাবা যায়! দুপাশে জল, মাথার উপর জল। তার মধ্যে যাবে মেট্রো। ময়দান থেকে হাওড়া স্টেশন পর্যন্ত টানেলে বেশ কিছু বাঁক রয়েছে বটে। তবে গঙ্গা যেখান থেকে শুরু হয়েছে, সেখান থেকে শেষ পর্যন্ত সুড়ঙ্গ একেবারে নাক বড়াবড়। কোনও বাঁক নেই।
এদিন যে মহড়া দিয়েছে মেট্রো রেল তাতে গঙ্গার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পৌঁছতে ছ’মিনিটের বেশি সময় লেগেছে। বলাইবাহুল্য পুরো দমে যখন যাত্রী পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে তখন এর চেয়ে অনেক কম সময় লাগবে মেট্রো চেপে জলের নীচ দিয়ে গঙ্গা পার হতে।
সন্দেহ নেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কলকাতার মুকুটে একটি নতুন পালক হতে চলেছে। হাজার হাজার মানুষ মুখিয়ে রয়েছে কবে শুরু হবে এই পরিষেবা। ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো শুরু হওয়া মানেই হাওড়ার বিপুল সংখ্যক মানুষ যাঁরা কলকাতায় কাজের জন্য আসেন তাঁদের যাতায়াতে কার্যত বিপ্লব এসে যাবে। সময় বাঁচবে অনেকটাই। সল্টলেকের সঙ্গে জুড়ে যাবে হাওড়া। হাওড়া ময়দান থেকে এপারে ব্র্যাবর্ন রোড পর্যন্ত টানেল এবং লাইন পেতে রেল চলাচলের মহড়া বছর পাঁচ-ছয় আগেই হয়েছিল। এদিন এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত তৈরি টানেলে ট্রেন চালানোর মহড়া দেওয়া হল।
কবে শুরু হবে তা হলফ করে বলা যাচ্ছে না। তবে মহড়া শুরু হতেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিল হাওড়া ও কলকাতাবাসী।