
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিধ্বংসী আগুন (Fire) টেরিটি বাজারে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন দ্রুত বেগে ছড়িয়ে পড়ছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে গোটা এলাকা। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় দমকলকে আগুন নেভাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। টেরিটি বাজারে পৌঁছেছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।

জানা গেছে, মধ্য কলকাতার টেরিটি বাজার, অর্থাৎ চিনেপাড়ায় বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে খাক হয়ে গেছে একটা বাড়ি। সূত্রের খবর, টেরিটি বাজার এলাকায় একটি পুরনোর বাড়ির ছাদে প্রথম আগুন লাগে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় সেখান থেকে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছয় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। রাত অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী, হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। ক্ষয়ক্ষতি কতটা হয়েছে তাও জানা যায়নি। তবে গোটা বাড়িটাকেই আগুন গ্রাস করছে বলে জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
দমকল সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যা সওয়া সাতটা নাগাদ টেরিটি বাজার এলাকার ১৫ নম্বর গ্যাঞ্জেন লেনে তিনতলা একটি বাড়ির ছাদে প্রথমে আগুন দেখেন স্থানীয়রা। তখনই খবর দেওয়া হয় দমকলে। প্রায় শতাব্দী প্রাচীন বাড়িটি থেকে বাসিন্দাদের নামানো হয়। দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাড়ির তিনতলায় পাঁচ জনের পরিবার থাকত। বাড়ির টিনের চালটি পুরোপুরি আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেছে।
দমকলকর্মীরা বলছেন, বাড়িটি সরু গলিতে, তাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগছে। আশপাশের বাড়ি থেকে লোকজনকে বের করে দেওয়া হয়েছে। বাড়িটির নীচ থেকে ও আশপাশের বাড়ি থেকে জল দেওয়া হচ্ছে। রাত ১০টা অবধি আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
জানা যাচ্ছে, বাড়িটিকে আগে থেকেই বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করে নোটিশ টাঙানো হয়েছিল। কী ভাবে টেরিটি বাজার এলাকার বাড়িটিতে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। দমকলের পক্ষ থেকেও কিছু জানানো হয়নি। স্থানীয়দের বেশ কয়েকজনের দাবি, তাঁরা সিলিন্ডার বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছেন।