
সিঁথির মোড় থেকে সরশূনা, লেবুতলা থেকে পিকনিক গার্ডেন, কসবা থেকে চৌরঙ্গি– বুথের বাইরে নিরাপত্তা আছে, ভিতরে পোলিং পার্টি, রাজনৈতিক দলের এজেন্টরা আছেন। কিন্তু সকাল সকাল ভোট দেওয়ার ট্রেন্ড দেখা গেল না। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত এলাকা তো বটেই, বস্তি এলাকার ছবিটাও একই।
তার কারণ একটাই। শীত!
সকাল পৌনে আটটাতেও কম্বলমুড়ি কলকাতার। যেন বেলা বাড়লে মিঠে রোদ গায়ে মেখে ভোট দেওয়ার প্রতীক্ষা। এমন শীতে কবে রাজ্যে ভোট হয়েছে তা অনেকেই মনে করতে পারছেন না। ভোট মানেই বাংলায় এপ্রিল-মে মাস। প্রবল দাবদাহ। কিন্তু এবার তা নয়।
তবে কয়েক জায়গায় দেখা গিয়েছে, বুথের থেকে মাংসের দোকানে লাইন বেশি। গণতন্ত্রের উত্সবের দিনে পেটপুজোর প্রস্তুতি।
অনেকের বক্তব্য, অন্য বার ভোটে বেলা বাড়লে রোদের ভয় থাকে। ফলে মানুষের মধ্যে একটা ট্রেন্ড থাকে ভোর ভোর ভোট দিয়ে নিতে। কিন্তু এই ঠান্ডায় যত বেলা বাড়বে তত মজা। হতে পারে সে কারণেই সকাল সকাল লম্বা লাইনের চেনা ছবি নেই শহরে।
বেহালার ১২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা, অবসরপ্রাপ্ত ডাক কর্মচারী শঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, ভোট দিতে যাব জলখাবার খেয়ে, সাড়ে দশটার পর। এই সাত সকালে ঠান্ডার মধ্যে কে যাবে।
তবে সকাল সকাল কিছু বুথে কিছু ভোটার এসেছেন। তাঁদের পোশাকেই স্পষ্ট, কী পরিমাণ কাঁপুনি রয়েছে। তার মধ্যে সকাল থেকেই উত্তুরে হাওয়ার দাপট। কনকনে ঠান্ডা কলকাতায়। এমনিতেই শহর কলকাতায় ভোটের হার কম থাকে। উত্সাহও তাই। তা ছাড়া এবারের পুরভোটের প্রচারেই দেখা গিয়েছে বিক্ষিপ্ত কিছু ওয়ার্ড ছাড়া এক তরফা প্রচার। বিরোধীরা কার্যত ময়দানেই নেই। তবে রাজনৈতিক দলগুলির আশা, বেলা বাড়লে লম্বা হবে লাইন।