
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনার জন্য স্কুল বন্ধ ছিল দু’বছর, পড়াশুনা চলত অনলাইনে। কিন্তু দু’বছর পর স্কুল (Kolkata School) খুলেছে, বাচ্চারা গুটি গুটি পায়ে স্কুলের গন্ডি পেরোচ্ছে, আর তাতেই খুশি অভিভাবকরা! তবে শিক্ষক-শিক্ষিকারা (Teachers) মনে করেন যে, অভিভাবকদের উচিত তাঁদের বাচ্চাদের এবার স্কুলে একা ছেড়ে দেওয়ার সময় এসে গেছে।
ঘরবন্দি জীবন দশা কাটিয়ে অনেক বাচ্চাই আছে যারা জীবনে প্রথম স্কুল আসছে তা প্লে স্কুল হোক বা প্রাইমারি। অভিভাবকদের (Parents) মধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে বাড়তি উত্তেজনা। কেউ কেউ এই অভিজ্ঞতাকে ক্যামেরা বন্দি করছেন, কেউ বা আবার বারবার তাঁর বাচ্চাকে বুঝিয়ে যাচ্ছেন কী করতে হবে আর কী করতে হবে না।
উল্লেখ্য এপ্রিল মাস থেকেই শিশুদের জন্য স্কুল খুলে যাচ্ছে। আর অনলাইনে নয়, অফলাইনেই ক্লাস হবে প্লে স্কুল বা প্রাইমারির বাচ্চাদের। তবে এর মধ্যে যেহেতু অনেকেই প্রথম স্কুলে আসছে, তাই স্কুলের পরিবেশ কেমন হয় তার সঙ্গে শিশুদের পরিচয় করানোর জন্য শহরের কিছু স্কুল বাচ্চা সমেত অভিভাবকদের স্কুলে ডেকেছিল।
আর তাতেই দেখা গেল অভিভাবকদের মধ্যে উত্তেজনা ও উদ্দীপনার ছবি। যেহেতু এটা প্রথাগত স্কুলে ক্লাস নয়, তাই এইসব ক্লাসে অভিভাবকদের কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছিল। দেখা গেল বেশিরভাগ অভিভাবকই ব্যস্ত ছিলেন, তাঁদের বাচ্চার ছবি তুলতে। বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে ক্যামেরার সামনে পোজও দিচ্ছে কোনও কোনও বাচ্চা।
কখনও হাতে বেলুন দিয়ে, আবার কোনও বাচ্চার হাতে ‘ব্যাক টু স্কুল’ লেখা ব্যানার ধরিয়ে টপাটপ ছবি তুলছেন অভিভাবকরা। স্কুলের তরফ থেকেই এইসব ব্যানার, বেলুনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়াতে সেই সব ছবি ঝড় তুলেছে দিনভর।
স্কুল কর্তৃপক্ষদের কথায়, অভিভাবকদের কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছিল কারণ অভিভাবকরা তাঁদের বাচ্চাদের নিয়ে যেমন উত্তেজিত ছিল তেমন উদ্বিগ্নও ছিলেন। যেহেতু অনেক বাচ্চাই এতদিন বাড়িতে ছিল, প্রথম স্কুলে আসছে, কী করে না করে সেই নিয়েই।
লরেটো কনভেন্ট (এন্টালি) স্কুলের অধ্যক্ষ জেসিকা গোমসের কথায়, ‘আমরা জানি প্রথম প্রথম শিশুরা কিছুটা অস্বস্তিতে পড়বে। কিন্তু আশা করি যখন পূর্ণাঙ্গভাবে ক্লাস শুরু হবে তখন তারা ধীরে ধীরে মানিয়ে নিতে পারবে।’ অনেকটা সেই সুরে সুর মিলিয়েই শ্রী শ্রী অ্যাকাডেমির অধ্যক্ষ সুভিনা সুনগলু বলেন, অনেক শিশুই আছে যাদের কাছে স্কুল জীবন কী সেই সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই কারণ তারা আগে কখনও স্কুলে আসেনি।
অনেক অভিভাবককেই দেখা গেছে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে। তাঁদের প্ৰশ্ন, স্কুলে তাঁদের বাচ্চারা কী পরিষেবা পাচ্ছে। মহাদেবী বিড়লা ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমির অধ্যক্ষ অঞ্জনা সাহা বলেন, অনেক অভিভাবকই স্কুলের ভেতরে ঘুরে দেখতে চেয়েছেন, তাঁরা দেখতে চান কী কী ব্যবস্থা রাখা হয়েছে স্কুলে।