
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দুপুর একটার পর থেকেই নবান্ন অভিযান ঘিরে কার্যত বিজেপি-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। জলকামান চলেছে। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফেটেছে। লাঠিচার্জ হয়েছে। পাল্টা ইট-বৃষ্টি চলেছে। ইট পাটকেলের পাশাপাশি উড়ে এসেছে আধলাও। দাউ দাউ করে পুলিশের গাড়িও জ্বলেছে। সব মিলিয়ে রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল শহরে। বিকেলে লালবাজারে পুলিশের (Kolkata Police) তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়েছে, মোট ৯০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অশান্তি সামালাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ২৭ জন পুলিশকর্মী।
অন্যদিকে, সাঁতরাগাছিতেও বেশ ক’য়েকজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। সেই সংখ্যা সন্ধে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের তরফে জানানো না হলেও নবান্নের এক আধিকারিকের কথায়, হাওড়া পুলিশের ৪ জন কর্মী আহত হয়েছেন।
এদিন সকাল থেকেই বিজেপির (Bjp) নবান্ন অভিযানকে আটকানোর জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল পুলিশ। রাস্তায় গর্ত করে পিলার পুঁতে ব্যারিকেড লাগিয়ে ঝালাই করে দেওয়া হয়েছিল। জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের শেল, লাঠিচার্জ করা হয়। পাল্টা বিজেপির মিছিল থেকেও ইট-বৃষ্টি হয়েছে বলে পুলিশের অভিযোগ। উড়ে আসা ইটের টুকরোয় বহু পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে লালবাজার জানিয়েছে। আহত পুলিশকর্মীর সংখ্যা ২৭।
অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে আসা মিছিল ছত্রভঙ্গ হওয়ার পর পুলিশ যখন বিজেপির কর্মী–সমর্থকদের ধাওয়া দিয়ে বড়বাজারের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। ডব্লিউবি ০৬ বি ৪৭০২ নম্বরের সাদা স্করপিওতে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। গাড়িটি কলকাতা পুলিশের পিসিআর ভ্যান। প্রথম ইট ছুড়ে কাচ ভাঙা হয়। পরে গাড়ির ওপরে উঠে ভাঙা হয় হুটার। সঙ্গে সঙ্গে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভায়। পুলিশ জানিয়েছে, যারা মিছিলে এসেছিল, তারাই আগুন লাগিয়েছে।
বিজেপির নবান্ন অভিযান: রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট