
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মেট্রোয় বিজ্ঞাপনী (Advertisement) জিঙ্গেলস, বিভিন্ন সংস্থার ব্র্যান্ডিং বা অন্য সংস্থার নামে স্টেশনের নামকরণ নিয়ে শহরবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকের মতে, ‘কৌলীন্য’ খুঁইয়েছে কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro)।
আবার অনেকের দাবি, এটাই যুগোপযোগী পদক্ষেপ। তবে এসব বিতর্ককে ‘ডজ’ করে যাত্রীভাড়া বাদেই কলকাতা মেট্রো এরমধ্যেই ১৯.৩২ কোটি রোজগার করেছে। ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষের যাত্রীভাড়াবিহীন লাভের এই হিসেব দিয়েছে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মোট ১০টি উত্তর-দক্ষিণ এবং পূর্ব-পশ্চিম মেট্রো স্টেশনের ব্র্যান্ডিং করা হয়েছিল। যার মধ্যে রয়েছে, মেট্রো রেক, এসকেলেটরের পাশের দেয়াল, খোলা জায়গায় হোর্ডিং, স্বাস্থ্য পরীক্ষা কিয়স্ক, ডিজিটাল ঘড়ি, বিভিন্ন স্টেশনে ডিজিটাল ভাড়া চার্ট ইত্যাদির মাধ্যমে বিজ্ঞাপন থেকে রাজস্ব আরও বাড়ানোর কৌশল।

এছাড়াও, মেট্রো কার্ড ব্যালেন্স চেকিং, টার্মিনাল ব্র্যান্ডিং, স্বয়ংক্রিয় স্মার্ট কার্ড রিচার্জ মেশিন ব্র্যান্ডিং, হ্যান্ডেল চেইন ব্র্যান্ডিং, বিভিন্ন ফুড কিয়স্ক তৈরি, বিভিন্ন ব্যাঙ্কের এটিএম, স্মার্ট কার্ড ব্র্যান্ডিং করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মেট্রোর স্মার্টকার্ডে বন্ধন ব্যাঙ্কের ব্র্যান্ডিং রয়েছে। এসব কারণেই আয় বেড়েছে বলে মেট্রোর দাবি।

করোনা আসার পর থেকে শুধুমাত্র স্মার্ট কার্ড নির্ভর যাতায়াতে মানুষ অভ্যস্ত। এখন টোকেন থাকলেও নিত্যযাত্রীদের কেউই প্রায় টোকেনের লাইনে দাঁড়ান না।
এবিষয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক মেট্রোর এক কর্তা বললেন, ‘এই শহরে মেট্রোই একমাত্র দ্রুত যাতায়াতের ভরসার জায়গা। অনেকগুলি মেট্রোপথ কয়েক বছরের মধ্যে চালু হবে। সুতরাং আরও নতুন এলাকার সঙ্গে আমরা যুক্ত হব। তখন লাভ আরও বেশি হবে। সুতরাং যাত্রী ভাড়া বহির্ভূত খাতে আয় বাড়লে স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টি আরও বেশি করে গুরুত্ব পাবে।’
বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে এবার কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল, ‘হোমওয়ার্ক ঠিক হয়নি’ বললেন অগ্নিমিত্রা