
বৃহস্পতিবার, এই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। নিম্ন আদালতের নির্দেশের পরেও কেন্দ্রের অনুমোদন না আসায় জেলেই ঠাঁই হয় লাভলীর। যা দেখে রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বেঞ্চ মন্তব্য করে, কেন্দ্রের উদাসীনতা দেখে বিস্মিত।
এরপরই নির্দেশ দেওয়া হয় যাতে দ্রুত বাংলাদেশি নাগরিক লাভলী আখতারকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এমনকি, তাঁকে এয়ারপোর্ট পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এবছর ১৩ এপ্রিল লাভলী আখতার বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেন। ভারতে আসার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার পরেও তিনি ভারতে বসবাস করতে থাকেন। খবর পেয়ে বসিরহাট থানার পুলিশ তাকে অবৈধভাবে থাকার জন্য গ্রেফতার। আদালতের নির্দেশে ৬৬ দিনের জেল হয় লাভলীর।
চলতি বছরের ১১ জুন বসিরহাটের সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লাভলীকে অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও ভারত সরকারের অনুমোদন না আসায় লাভলীর বর্তমান ঠিকানা সেই জেলই। লাভলীর আইনজীবী হাইকোর্টে জানান, নিম্ন আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সে ৬৬ দিন জেলও খেটেছে। কিন্তু তাকে এখনও ছাড়া হচ্ছে না। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে লাভলী যাতে নিজের দেশ বাংলাদেশ ফিরতে পারেন তাঁরা সহযোগিতা করলেও কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতার জন্য তাদের ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না। এরপরই কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করে তাকে বাড়ি ফেরানোর নির্দেশ দেন। অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে বাড়ি ফিরছেন লাভলী।