
মুকুল রায় ১১ জুন তৃণমূলের যোগ দিয়েছিলেন। তারপর তাঁকে পিএসি চেয়ারম্যান করার দৌত্য শুরু হতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেয় গেরুয়া শিবির। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, মুকুল রায়কে পিএসি চেয়ারম্যান করা হলে তারা কোনও কমিটির চেয়ারম্যান পদ নেবে না। তাই করেছে তারা। কোনও কিমিটির চেয়ারম্যান পদ নেয়নি বিজেপি।
ইতিমধ্যেই মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরিধী আইন প্রয়োগ করে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবি তুলেছে বিজেপি। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বার কয়েক শুনানিও করেছেন। সপ্তাহ দেড়েক আগে মুকুল রায় স্পিকারকে চিঠি পাঠিয়ে এক মাস সময় চেয়ে নিয়েছেন।
কিন্তু পিএসি চেয়ারম্যান নিয়ে মামলা গিয়েছে আদালতে। মামলাকারীর বক্তব্য, ৫৪ বছর ধরে কখনও এমনটা হয়নি। আদালত এদিন সেটাই জানতে চেয়েছে রাজ্য সরকারের থেকে।
মুকুল রায়কে যখন পিএসি-র চেয়ারম্যান করা হবে বলে শোনা যাচ্ছিল তখন একদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ ব্যাপারে নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেই সময়ে তিনি বলেছিলেন, “মুকুল তো বিজেপি পার্টির মেম্বার।” তা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। এবার রাজ্যের কাছে আদালত জানতে চাইল, পিএসি চেয়ারম্যান এ যাবৎ কাল যাঁরা হয়েছেন তাঁরা কি সরকারি দলের না বিরোধী দলের।
এদিন আদালত বলেছে, মুকুল রায় যে হলফনামা জমা দেবেন আদালতে তার প্রতিলিপি সমস্ত পক্ষকে দিতে হবে। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর ফের এই মামলার শুনানি হবে।