
পুলিশ জানিয়েছে, এদিন অর্চনা ধর ও সমীর সাধুখাঁ নামের দুই ব্যক্তিকে পুরসভায় চাকরিতে জয়েন করানোর জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল অমিতাভ বসু। বিষয়টি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই পুরসভার কর্তব্যরত কর্মী ও পুলিশরা তাকে ধরে ফেলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অমিতাভ জানায়, এই ব়্যাকেটের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আরও কয়েকজন ব্যক্তি। দমদম ক্যান্টনমেন্টের গোরাবাজারের বাসিন্দা, রাজ্য সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী দীপেন রায় চৌধুরী এবং সোনারপুরের বাসিন্দা প্রণয় বসুর নাম করে অমিতাভ।
ধৃত অমিতাভ বসু দাবি করে, সে মূলত এই ব়্যাকেটের এজেন্ট হিসেবে কাজ করত। প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত অমিতাভ বসুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিয়ে গেছে বলে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই শহর কলকাতাজুড়ে প্রতারণা চক্রের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সরব হয়েছেন কলকাতা পুরসভার চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। গত শনিবার ‘টক টু কেএমসি’ অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে এ ধরনের প্রতারকদের চিহ্নিত করে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন মানুষের কাছে।
প্রতারণা-চক্রের রমরমা বাড়ছে রাজ্যে। ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের পর থেকেই সামনে আসছে একের পর এক ভুয়ো কাণ্ড ও প্রতারণা। সেই তালিকায় রয়েছে আইপিএস, আইএএস, ডাক্তার, উকিল, বিচারক। আসল-নকলের মধ্যে দ্বন্দ্বে সকলে।