
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আইআইটি খড়্গপুরের (Kgp IIT) ছাত্র মৃত্যুর (Student Death) ঘটনায় আরও কড়া কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata Highcourt)। কলেজ অধিকর্তাকে হাজিরা দিতেই হবে আদালতে, জানালেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। এদিন শুনানিতে তিনি বলেন, ওই ছাত্রের মৃত্যুর জন্য কলেজের উদাসীনতাই দায়ী। তাই কোনওভাবেই আদালতে হাজিরা এড়ানো যাবে না।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের পয়লা তারিখ ছাত্র মৃত্যু ঘটনায় বিচারপতি রাজশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ আইআইটি খড়্গপুরের অধিকর্তাকে তলব করে। আগামী ২০ ডিসেম্বর হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। হাজিরার নির্দেশ নতুন করে আবেদন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
এদিন এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন, নতুন করে রিপোর্ট দেওয়ার আবেদন গ্রহণ করলেও অধিকর্তাকে হাজিরা দিতেই হবে। ২০ ডিসেম্বর না হোক ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে আসতে হবে তাঁকে।
তিনি খড়্গপুর আইআইটির আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার ডিরেক্টর বিভ্রান্ত করেছে আদালতকে। এটা তথ্য লুকোনোর ঘটনা। তাঁকে আসতেই হবে। তিনি কি আইনের ঊর্ধ্বে? আপনার ডিরেক্টর যা করেছেন, সেটা একেবারে কোর্টকে ভুল দিকে চালনা করার চেষ্টা। এর জন্য যতদূর ক্ষমতা প্রয়োগ করা যায় আদালত সেটা করবে।’
খড়্গপুর আইআইটির আইনজীবী বিচারপতির উদ্দেশে আবেদন করেন, খোলা এজলাসে এমন হলে ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট প্রভাব পরবে। তাই এটা যাতে না প্রকাশ না হয় সেই নির্দেশ দিন।’
পাল্টা বিচারপতি বলেন, ‘এটা তাঁর আগে মনে রাখা উচিত ছিল। ছাত্র ও প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে তাঁরই এগিয়ে আশা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তিনি সেটা না করে চরমভাবে বিচার ব্যবস্থাকে লঘু করার চেষ্টা করেছেন।’ কোনওভাবেই যে কলেজ কর্তৃপক্ষের আবেদন মানা হবে না, এদিন স্পষ্ট করে আদালত।
‘শ্মশান বাদ দিয়ে যেখানেই থাকুন, আদালতে হাজির করুন!’ টাকা আটকে থাকার মামলায় সপাট বিচারপতি