
দ্য ওয়াল ব্যুরো : বুধবার কেরলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৫৬ জন। এর ফলে ভারতের দক্ষিণের ওই রাজ্যে আক্রান্ত হলেন মোট ৩৩ লক্ষ ২৭ হাজার ৩০১ জন। এদিন কেরলে মারা গিয়েছেন ১৩১ জন। এই নিয়ে সেখানে মোট ১৬ হাজার ৪৫৭ জন করোনায় মারা গেলেন। এদিন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৭ হাজার ৭৬১ জন। সব মিলিয়ে রাজ্যে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা দাঁড়াল ৩১ লক্ষ ৬০ হাজার ৮০৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লক্ষ ৯৬ হাজার ৯০২ জুনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁদের টেস্ট পজিটিভিটি রেট (টিপিআর) ১১.২ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ২ কোটি ৬৭ লক্ষ ৩৩ হাজার ৬৯৪ জনের কোভিড টেস্ট করা হয়েছে। রাজ্যে যে জেলাগুলোয় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে, তাদের মধ্যে আছে মালাপ্পুরম, ত্রিচুর, কোঝিকোড়, এর্নাকুলম, পালাক্কাড়, কোল্লাম, আলাপ্পুঝা, কান্নুর, তিরুবনন্তপুরম এবং কোট্টায়াম।
কোভিড বিধিনিষেধ জারি রাখার পরামর্শ দিয়ে এদিন কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলির মুখ্যসচিবদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, কোভিড কমছে দেখে অনেক রাজ্যেই বিধিনিষেধ শিথিল করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এটা একেবারেই করা যাবে না। কারণ সামনেই আসছে উৎসবের মরশুম। এখন যদি বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়, তাহলে নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনা হবে। তৃতীয় ঢেউ আরও ভয়াবহ আকার নেবে।
সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে উৎসব পালনের কথাও জানিয়েছে কেন্দ্র। বলা হয়েছে, উৎসবের মরশুমে ভ্যাকসিন নেওয়া আর করোনা পরীক্ষা করা সুনিশ্চিত করতে হবে।
এর পাশাপাশি, কেন্দ্র সরকারের তরফে যে কোভিড বিধি রয়েছে তার মেয়াদও আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩১ অগস্ট পর্যন্ত কেন্দ্রের কোভিড বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে, এই মর্মে বিবৃতি জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারের তরফে যে কোভিড বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল তা এখনও পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়নি। এখনও চলছে বিধিনিষেধ। তবে তা অনেকটাই শিথিল করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের কোভিড গ্রাফে এখন দৈনিক সংক্রমণ আর মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। তাই প্রায় সব ক্ষেত্রেই ছাড় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এখনও চালু হয়নি লোকাল ট্রেন পরিষেবা।
তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর প্রাথমিক লক্ষ্য করোনা অতিমহামারীর মোকাবিলা। তারপর দফায় দফায় কোভিড বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়েছেন তিনি। আপাতত চলতি বিধিনিষেধ জারি রয়েছে আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত। তারপর ফের মেয়াদ বাড়বে কিনা এখনও তা জানানো হয়নি।
সূত্রের খবর, ৩০ জুলাইয়ের পরেও রাজ্য সরকার বিধিনিষেধ পুরোপুরি তুলে নেওয়ার কথা ভাবছে না। হয়তো আরও খানিক বিধিনিষেধ শিথিল করা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যসচিবদের উদ্দেশে কেন্দ্র সরকারের চিঠিও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।