
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। একসময় আ-মরি বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলন ঝড় হয়ে আছড়ে পড়েছিল যেখানে। আরও বহু গণ বিক্ষোভের উত্তাল দিনেরও সাক্ষী। এখানেই ঘুমিয়ে আছেন কবি। কবি কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam)।
ভারত-বাংলাদেশের সীমারেখায় ভাগ করা যায় না কবি কাজী নজরুল ইসলামকে (Kazi Nazrul Islam)। বাংলাদেশের (Bangladesh) জাতীয় কবি এই বাংলাতেও সমান বরেণ্য। তাই তার শেষশয্যা ঘিরে বাঙালির আবেগে কাঁটাতার নেই। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশেই মৃত্যু হয় কবি নজরুল ইসলামের। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই চিরশয্যায় শায়িত তিনি।
কবির সমাধি দেখতে প্রতিদিন মানুষের ভিড় জমে। ঢাকার শাহবাগ অঞ্চলের একদমই কাছে। ঢাকা শহর এবং তার পার্শ্ববর্তী প্রতিটি অঞ্চল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বাস ও নানা ধরনের গাড়ি আসে। এরপর শাহবাগ থেকে রিকশা নিয়ে কিংবা পায়ে হেঁটেই পৌঁছে যাওয়া যায় কবির সমাধির সামনে।
জাতীয় কবির সমাধির পাশে রয়েছে আরও দুজনের সমাধি। একটি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের। অন্যটি পটুয়াচার্য কামারুল হাসানের সমাধি।
কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির ওপর লেখা আছে তাঁর বিদ্রোহী কবিতার একটি ছোট অংশ –
“মহা-বিদ্রোহী রণক্লান্ত আমি সেই দিন হব শান্ত,
যবে উত্পীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না –
অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না –
বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত আমি সেই দিন হব শান্ত।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা থেকে শুরু করে অসংখ্য সাধারণ মানুষ। দিনের একটা সময় তাঁদের ভিড়ে গমগম করে সমাধি চত্বর। অন্য সময় তা পড়ে থাকে একা, নিঃসঙ্গ-কবির শেষ জীবনের মতই।
কয়লা পাচারকাণ্ডে নয়া মোড়, লালা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল ইডি