
একইসঙ্গে কর্নাটক সরকার এদিন জানিয়েছে, “এখন থেকে সরকারি অফিসে ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ হবে।” এর আগে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে ওই অফিসগুলিতে কাজ হচ্ছিল। হোটেল, রেস্তোরাঁ, ক্লাব এবং পানশালাতেও ১০০ শতাংশ খদ্দের ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে থিয়েটার ও মাল্টিপ্লেক্সে ৫০ শতাংশের বেশি দর্শক ঢুকতে পারবেন না। জিম ও সুইমিং পুলেও ৫০ শতাংশ মানুষ ঢুকতে পারবেন। মেট্রো রেল ও অন্যান্য গণপরিবহণে যতগুলি আসন আছে, ততজনই ভ্রমণ করতে পারবেন।
বিয়েবাড়িতে বাড়ির ভেতরে ২০০ জন ও বাইরে ৩০০ জন অবধি অতিথি আসতে পারবেন। কিন্তু সামাজিক, ধর্মীয় বা রাজনৈতিক জমায়েতের অনুমতি এখনও দেওয়া হয়নি। এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালে ২৫ শতাংশ বেড কোভিড রোগীদের জন্য সংরক্ষিত রাখতে হবে। কোভিড বাদে অন্যান্য রোগীরা যাতে যথাযথ চিকিৎসা পান, তারও ব্যবস্থা করতে হবে। রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কেরল, মহারাষ্ট্র ও গোয়া সীমান্তে কঠোর নজর রাখা হবে।
শুক্রবার কর্নাটকে কোভিডে আক্রান্ত হন ৩১ হাজার ১৯৮ জন। আগের দিনের তুলনায় সংক্রমণের ওই সংখ্যা ছিল ৭ হাজার কম। শুক্রবার রাজ্যে কোভিডে মারা গিয়েছিলেন ৫০ জন। তাঁদের আটজন ছিলেন বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। গত ২৪ ঘণ্টায় কর্নাটকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭১ হাজার ৯২ জন। এই নিয়ে রাজ্যে সুস্থ হয়ে উঠলেন ৩৩ লক্ষ ৯৬ হাজার ৯৩ জন।