
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হিজাব ইস্যু তাজা। শিক্ষাঙ্গনে হিজাব বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে হাইকোর্ট। তাঁর উপর হিন্দুত্বকে হাতিয়ার করে উত্তরপ্রদেশে, উত্তরাখণ্ডে জয় হাসিল। তাওয়া গরম থাকতে থাকতে তাই বিধানসভা ভোটে করিয়ে নিতে পারে শাসক দল বিজেপি। এমনটাই মনে করছে রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব (karnataka)।
আরও পড়ুন: একটা বাইকে সাত জন! পুলিশও ভেবে পাচ্ছে না কী বলবে, দেখুন ভিডিও
তাদের পরামর্শে তাই আগামীকাল বৃহস্পতিবার কর্নাটকে পৌঁছচ্ছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। আচমকাই কংগ্রেস মঙ্গলবার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার আসছেন রাহুল।
রাহুলের এই সফরের সিদ্ধান্ত এতটাই আকস্মিক যে তা নিয়ে রীতিমত চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। আসলে ক’দিন ধরেই কথা চলছিল, রাজ্য সফরে যেতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ (Amit Shah)। মঙ্গলবার বিজেপি ও কর্নাটকের বিজেপি সরকার একযোগে জানিয়েছে, শুক্রবার যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। খানিক পরেই কংগ্রেস ঘোষণা করে একদিন আগেই ঢুকছেন তাদের নেতা রাহুল।

ঘটনা হল, অমিত শাহ এবং রাহুল গান্ধীর গন্তব্যও এক। দু’জনই লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের প্রাণ পুরুষ শিবকুমার স্বামীজির ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে তুমাকুরুতে তাঁর প্রতিষ্ঠিত সিদ্দ্যাগঙ্গা মঠে যাবেন তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।
লিঙ্গায়েত হল কর্নাটকের অত্যন্ত প্রভাবশালী একটি সম্প্রদায়। বিশেষ করে ভোটের লড়াইয়ে এই সম্প্রদায়কে কাছে টানতে প্রাণপাত করে সব দল। সেই সূত্রে গান্ধী পরিবারের সঙ্গে মঠের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধীরা কর্নাটকে গেলে মঠে যেতেন। রাহুল, সনিয়া, প্রিয়াঙ্কাও গিয়েছেন।
বিজেপি অমিত শাহের রাজ্যে আসার কথা কয়েকদিন ধরে বললেও তাঁর সিদ্দাগঙ্গা মঠে যাওয়ার কর্মসূচি গোপন রেখেছিল। মঙ্গলবার তা জানাজানি হতেই কর্নাটক কংগ্রেসের নেতারা রাহুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বিকেলে কংগ্রেস ঘোষণা করে রাহুল সিদ্দাগঙ্গা যাচ্ছেন অমিত শাহের সফরের আগের দিন।
কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, রাহুল, সনিয়াদের এখন এসপিজি নিরাপত্তা নেই। তাতে সাপে বর হয়েছে। এসপিজি নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে এত দ্রুত সফরে সম্মতি দিত না।

কিন্তু কংগ্রেসের এই তৎপরতার কারণ কী? দলীয় সূত্রের বক্তব্য, তাদের ধারণা, বিজেপি সরকার এবছরের শেষে গুজরাত ও হিমাচল প্রদেশের সঙ্গে কর্নাটকে ভোট করিয়ে নিতে পারে। হিসেব মতো কর্নাটকের পরবর্তী বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা আগামী বছরের মাঝামাঝি নাগাদ। অমিত শাহ আসছেন রথ দেখা, কলা বেচা, দুই উদ্দেশ্যেই। তিনি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে বুঝে নিতে চাইছেন ভোট এগোনো কতটা জরুরি।
কারণ, কর্নাটকে বিজেপি স্বস্তিতে নেই। ভিএস ইয়েদুরাপ্পাকে সরিয়ে বাসবরাজে বোম্মাইকে মুখ্যমন্ত্রী করার পরও বিজেপির অবস্থা তেমন ফেরেনি। ফলে হিজাব বিতর্ককে হাতিয়ার করে হিন্দুত্ব নিয়ে ভোটে যেতে চাইবে তারা, মনে করছে কংগ্রেস।