
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হিজাব মামলায় হাইকোর্টে জয় হয়েছে কর্ণাটক (karnataka) সরকারের। মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে। তবে শিক্ষাঙ্গনে হিজাব আপাতত নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুন: এইচডিএফসি-র সংযুক্তিকরণ, উর্ধ্বমুখী সেনসেক্স, নিফটি
সেই ইস্যু মিলিয়ে যাওয়ার আগেই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি হালাল মাংস নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে। এবার তাদের দাবি, মসজিদে নমাজ পাঠের সময় মাইক বাজানো যাবে না। তাদের হুঁশিয়ারি, এই দাবি না মানা হলে তারা ভোরবেলা ভজন গাইতে শুরু করবে।
মসজিদে মাইক বাজানো বন্ধের দাবি পুরনো। নতুন করে তা সামনে এনেছেন কর্ণাটকের পড়শি রাজ্য মহারাষ্ট্রের নব নির্মাণ সেনার সভাপতি রাজ ঠাকরে। শনিবার মুম্বইয়ের শিবাজী পার্কের সভায় রাজ বলেন, মসজিদে কেন মাইক বাজানো হবে? ওটা যদি বন্ধ না হয় তাহলে আমরা হনুমান চালিশা পাঠ করব।
বস্তুত, রাজ ঠাকরে এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে অনেকদিন পর আবার মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ভেসে উঠেছেন। তাঁর অনুগামীরা পার্টি অফিসের সামনে হনুমান চলিশা পাঠ করেছে।
এদিকে, রাজের ঘোষণাকে হাতিয়ার করে শ্রীরাম সেনা নামে একটি সংগঠন দাবি তুলেছে, কর্ণাটকে মসজিদে মাইক বাজানো বন্ধ করতে হবে। ওই সংগঠনের তরফে ভিডিও বার্তায় বলা হয়েছে, রাত ১০ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত মাইক বাজানো যাবে না, এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টের রায় আছে। কিন্তু তা মানা হয় না। তাদের আরও অভিযোগ, প্রশাসনও নিরুত্তর।
এই ব্যাপারে কর্ণাটকের প্রবীণ মন্ত্রী কেএস এসাইয়াওরাপা বলেন, এই ব্যাপারে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এগোতে হবে।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, কর্ণাটকে আগামী বছরের মাঝামাঝি ভোট। তার আগে ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা শুরু হয়েছে। হিজাব, হালাল মাংস থেকে মসজিদে মাইক বন্ধের দাবি, সব কিছুর পিছনেই আছে মেরুকরণ জোরদার করা।