
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বৈধ জমিতে তৈরি করা পাঁচিল ভাঙা হবে কেন? এমন প্রশ্ন তুলতেই বিজেপি বিধায়কের কাছে চরম হেনস্থার শিকার হতে হল এক মহিলাকে। ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকে (Karnataka)। বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) অরবিন্দ লিম্বাভালির বিরুদ্ধে উঠেছে এই অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে এই ঘটবার ভিডিও। ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হতেই চরম অস্বস্তির মুখে পড়তে হয় পদ্ম বিধায়ককে।
কী ঘটেছিল?
জানা গেছে, ব্যাঙ্গালোর জল সরবরাহ এবং পয়ঃনিষ্কাশন বোর্ড, একটি এলাকায় সরকারি জমিতে কম্পাউন্ডের পাঁচিল দেওয়ার অভিযোগ তুলে সেটি বুলডোজার দিয়ে ভাঙার কাজ শুরু করে। কিন্তু এই কাজে রুখে দাঁড়ান ওই কমপ্লেক্সের মালকিন রুথ সাগাই মেরি আমেলা নামে এই মহিলা। তাঁর বক্তব্য, সরকারি জরিপকারীদের জরিপ ও বিভাগীয় অনুমোদনের পরই এই পাঁচিল দেওয়া হয়েছে। এটি কোনও বেআইনি নয়।
জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শনে আসেন স্থানীয় বিধায়ক অরবিন্দ লিম্বাভালি। তখন আমেলা তাঁর কাছে পাঁচিল তোলার বৈধ কাগজ নিয়ে দেখাতে যান। তখনই ঘটে বিপত্তি। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, প্রথমে ওই মহিলার কথা কানেই তুলতে চাননি অরবিন্দ। পরে দেখা যায় ওই মহিলার থেকে কাগজ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এমনকি ওই মহিলাকে গালিগালাজ ও হুমকিও দেওয়া হয় অভিযোগ।
ঘটনার ভিডিও কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সূর্যেওয়ালা শেয়ার করেছেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায়। পাশাপাশি কন্নড় ভাষায় ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। ভিডিওতে ওই মহিলাকে বলতে শোনা গেছে, ‘স্যার, আমি সম্মানের সঙ্গে আপনার সঙ্গে কথা বলছি। এটা সরকারি জমি নয়।’ পাল্টা অরবিন্দের হুমকি, ‘জমিতে অনাচার করেছেন আবার সম্মান চান?’ শুধু তাই নয় অরবিন্দ পুলিশের হুমকিও দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
জানা গেছে, এই ঘটনার পরই মেরি আমেলাকে থানায় তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এমনকি সন্ধ্যে পর্যন্ত আটকে রাখে। পরে থানার সামনে কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভ শুরু হওয়ায় বয়ান রেকর্ড করে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও পরে অরবিন্দ জানিয়েছেন, ওই মহিলার কাছে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত তিনি।
আল-কায়দা যোগের সন্দেহ, পুলিশের জালে ডায়মন্ড হারবারের দুই যুবক