
বড় দল না খেললে মাঠে সমর্থক আসবে কেন! সেটি নিয়ে হেলদোল নেই আইএফএ-র। তারা বরং তিন প্রধানের কর্তাদের এনে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন, তারা সফল। মোহনবাগানের দেবাশিস দত্ত, ইস্টবেঙ্গলের দেবব্রত সরকার ও মহামেডানের কামারউদ্দিন ছিলেন মাঠে। তাঁরা রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে হাজির থেকে বলে গেলেন, এবারে পরিস্থিতি অনুকূলে ছিল না, তাই দল গড়া হয়নি। সামনের বার অবশ্যই খেলব এই আসরে।
তিনটি বড় ক্লাবেরই মহিলা দল রয়েছে, কিন্তু তারা দলগঠন করে মাঠে নামার উৎসাহ দেখায়নি। কেন, সেই নিয়ে রহস্য রয়ে গিয়েছে। মাঠে ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, তিনি বলে লাথি মেরে সূচনা করেন টুর্নামেন্টের। ছিলেন নামী অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। মহিলা ফুটবলারদের সঙ্গে হাত মেলান অভিনেত্রী।
এদিন, জয় দিয়ে এবারের কন্যাশ্রী কাপ অভিযান শুরু করল গত দুই বারের চ্যাম্পিয়ন এস এস বি উইমেন্স এফ সি। আজ রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে কন্যাশ্রী কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে চাঁদনি স্পোর্টিং ক্লাবকে ৬-০ গোলে হারাল এসএসবি। রঞ্জিতা দেবী দুটি ও দুলের মান্ডি,মুনেশ কুমারী,পূর্ণিমা লিন্ডা,অনিতা রানী একটি করে গোল করেছেন।
দু’বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী প্রকল্পের অনুপ্রেরণায় এই লিগের নামকরণ করা হয়েছে কন্যাশ্রী কাপ। এবার কন্যাশ্রী কাপে দুই মন্ত্রীর ক্লাব দল অংশ নিচ্ছে। ক্রীড়ামন্ত্রীর সুরুচি সংঘ ও দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর শ্রীভূমি ছাড়াও মতুয়াদের একটি দলও এবার কন্যাশ্রী কাপে অংশ নিচ্ছে।
ময়দানের নামী ফুটবল প্রশাসক প্রয়াত দেবু মুখোপাধ্যায়ের তালতলা দীপ্তি ক্লাব অধিগ্রহণ করে শ্রীভূমি হয়েছে। দেবুর সুযোগ্য কন্যা সুদেষ্ণা দীপ্তি সংঘ নিয়ে লিগে খেলবে। তাঁর দল আবার জনাইতে আবাসিক শিবিরও করেছে।
কন্যাশ্রী কাপের সব ম্যাচ পরিচালনা করবেন মহিলা রেফারিরা। কন্যাশ্রী কাপে চ্যাম্পিয়ন দল ৫০ হাজার ও রানার্স দল ২৫ হাজার টাকা পাবে।