Latest News

পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, দিল্লির কৃষক আন্দোলন নিয়ে মন্তব্য করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী

দ্য ওয়াল ব্যুরো : “কানাডা সবসময়েই শান্তিপূর্ণ পথে বিক্ষোভ দেখানোর অধিকারকে সমর্থন করে।” সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ত্রুদো। দিল্লিতে কৃষকদের বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।

গুরু নানকের ৫৫১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনলাইন অনুষ্ঠানে ত্রুদো বলেন, “ভারত থেকে খবর পাচ্ছি, কৃষকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। আমাদের বন্ধু ও তাঁদের পরিবারের লোকজনের কথা ভেবে দুশ্চিন্তা হচ্ছে। আমি জানি, আপনারাও অনেকে উদ্বেগে রয়েছেন।” এর পরেই ত্রুদো শ্রোতাদের উদ্দেশে বলেন, “আমি আপনাদের একটা কথা মনে করিয়ে দিতে চাই। কানাডা সবসময় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকারকে সমর্থন করে।”

বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে ত্রুদোই প্রথমে ভারতে কৃষক আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন। পাশাপাশি ওয়ার্ল্ড শিখ অর্গানাইজেশনের তরফে কানাডার এক নেতা বলেছেন, “আমরা মনে করি আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হতে পারে। আমরা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি।”

মঙ্গলবার বিকালেই কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে দুপুর তিনটে থেকে শুরু হবে বৈঠক।

কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র তোমর জানিয়েছেন, গত ১৩ নভেম্বর আমরা ঘোষণা করেছিলাম, ৩ ডিসেম্বর কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসব। কিন্তু তাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েই চলেছেন। শীত ও করোনা সংক্রমণের কথা চিন্তা করে তাঁদের ১ ডিসেম্বর বৈঠকে ডাকা হয়েছে। রাজধানীর বিজ্ঞান ভবনে দুপুর তিনটেয় বৈঠক হবে।

সোমবার রাতে হৃদরোগে দিল্লিতে এক আন্দোলনকারী মারা গিয়েছেন। তাঁর নাম গজ্জন সিং। তিনি পাঞ্জাবের লুধিয়ানা জেলার খাট্টরা গ্রামে থাকতেন। দিল্লি সীমান্তে টিকরি অঞ্চলে কৃষকদের জমায়েতের মধ্যে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত ৭১ বছরের মধ্যে এবারই নভেম্বরে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা পড়েছে। ঠান্ডাতেই গজ্জন সিং অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। গত সপ্তাহে কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ অভিযান শুরুর পরে এই নিয়ে দু’জনের মৃত্যু হল।

সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লি পুলিশ টুইট করে জানায়, দিল্লি সীমান্তে সিংঘু সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। টিকরি সীমান্ত দিয়েও যান চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্তে গাজিপুরে রাস্তা আটকানো হয়নি। দিল্লির বুরারিতে যে কৃষকরা গিয়েছিলেন, তাঁরা এদিন ‘রোড মার্চ’ করেছেন। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার ও কৃষি আইনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়েছে।

হরিয়ানার প্রতিটি খাপ কৃষকদের আন্দোলন সমর্থন করেছে। তাঁরা মঙ্গলবারই জমায়েত করবে দিল্লিতে। হরিয়ানার খাপ প্রধান সোমবীর সাঙ্গোয়ান বলেন, “আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করছি, তারা কৃষি আইনগুলি নিয়ে একবার বিবেচনা করুক। প্রতিবাদ করার অধিকার সকলেরই আছে।”

You might also like