
বিচারপতি সুনীল গৌড় অবসর নিয়েছেন ২৩ অগস্ট। তিনি বলেছিলেন, আইএনএক্স মিডিয়া কেসে চিদম্বরমকেই ‘কিংপিন’ বলে মনে হচ্ছে। একে টাকা তছরুপের ‘ক্ল্যাসিক কেস’ বলা যেতে পারে। পরে তিনি বলেন, চিদম্বরমকে জামিন দিলে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে। অভিযোগ, ২০০৭ সালে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বিধি ভেঙে আইএনএক্স মিডিয়াকে বিদেশি বিনিয়োগ পাইয়ে দিয়েছিলেন। তখন কেন্দ্রে ছিল ইউপিএ সরকার।
আরও একটি হাই প্রোফাইল কেস শুনেছিলেন বিচারপতি গৌড়। তাতে অভিযুক্ত ছিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের ভাইপো রাতুল পুরী। অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড হেলিকপ্টার কেলেংকারিতে তিনি অন্যতম অভিযুক্ত। তাঁর আগাম জামিনের আবেদন বিচারপতি গৌড়ের এজলাসে নাকচ হয়ে গিয়েছিল।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিচারপতি গৌড় কংগ্রেসের দুই প্রাক্তন প্রধান সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে অনুমতি দেন। গত বছর ন্যাশনাল হেরাল্ডের প্রকাশক সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালকে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, অবিলম্বে তাদের দিল্লি অফিস খালি করে দিতে হবে। গত এপ্রিলে সুপ্রিম কোর্ট সেই রায়ের কার্যকরী হওয়া স্থগিত রেখেছে।
২০০৮ সালের এপ্রিলে গৌড় হাইকোর্টের বিচারপতি হন। তাঁর এজলাসে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দুর্নীতি মামলার শুনানি হয়েছিল। মাংস রফতানিকারী মইন কুরেশির বিরুদ্ধে টাকা তছরুপের মামলাও তিনি শুনেছিলেন। ১৯৮৪ সালে তিনি পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে কেরিয়ার শুরু করেন। দিল্লি হাইয়ার জুডিশিয়াল সার্ভিসে তিনি যোগ দেন ১৯৯৫ সালে।