
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এমআই ফাইভ কী? প্রথমে শুনলে মনে হতে পারে, নতুন লঞ্চ হওয়া কোনও কোম্পানির ফোনের মডেল বোধহয়। কিন্তু না। এমআই ফাইভ (MI 5) হল ইংল্যান্ডের গোয়েন্দা সংস্থা। বৃহস্পতিবার একটি শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) সিবিআইয়ের (CBI) উপর তীব্র বিরক্তি প্রকাশ করে মন্তব্য করলেন, প্রয়োজনে এমআই ফাইভকে দিয়ে তদন্ত করাব। কিন্তু দুর্নীতির কোনও ক্ষমা নেই।
২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। সেই তদন্তের অগ্রগতি নিয়েই এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, এত কালক্ষেপ হচ্ছে কেন? বিচারপতি এও মন্তব্য করেন, সিবিআইআয়ের জন্য খুব খারাপ সময় আসছে।
দু’দিন আগে একটি নিয়োগ মামলায় এক সিবিআই অফিসারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পর্যবেক্ষেণে বলেন, এই দুর্নীতির তদন্ত যাতে সঠিকভাবে হয় তার জন্যই আদালত সিবিআইকে ভার দিয়েছে। সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা তার মর্যাদা রাখতে পারছে না।
এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এও বলেন, সিবিআইকে সতর্ক করেও যদি কাজ না হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখবেন তিনি।
ফের সিবিআই তদন্ত! রাজারহাটে যুবকের মৃত্যু মামলায় নির্দেশ হাইকোর্টের
২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত এই মামলায় ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট চেয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি মনে করেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি যথেষ্ট সময় পেয়েছে তদন্তের জন্য। কিন্তু তারা তা সঠিকভাবে করেনি। আর এই ধরনের মামলায় কালক্ষেপ আদালত বরদাস্ত করা হবে না।
গত কয়েকদিনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ বলেছেন । তাতে একদিকে যেমন কেন্দ্রীয় এজেন্সির সমালোচনা করা হয়েছে তেমন তাঁর উদ্বেগ শোনা গিয়েছে ‘দিদি’র পাশে দুর্বৃত্তদের উপস্থতি নিয়েও। বুধবারই মানিক ভট্টাচার্য মামলায় তিনি মন্তব্য করেছিলেন, দিদির পাশে এই দুর্বৃত্তরা থাকলে তিনি সামলাবেন কী করে। রাজ্যটা তো শেষ হয়ে যাবে। এদিন দুর্নীতির তদন্তে সরাসরি বিলেতের এজেন্সির নাম উল্লেখ করলেন তিনি।