
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) যেন পার্সন অফ দ্য ইয়ার! অর্থাৎ যেন বছরের সেরা ব্যক্তি! যিনি রেকর্ড তৈরি করেন, আবার নিজের রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যান। এতটা উঁচুতে যে তাঁকে ছোঁয়া যাবে না!
বৃহস্পতিবার তেমনই হল হয়তো। বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বিস্ময়ের সঙ্গে প্রশ্ন করেছিলেন, এত দুর্বৃত্ত পাশে নিয়ে দিদি সরকার চালাচ্ছেন কী করে? বৃহস্পতিবারই তাঁর আবার অন্য মেজাজ। প্রাথমিক নিয়োগে সিবিআই-ইডি তথা কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সির তদন্তের শ্লথ গতি নিয়ে এর আগে কয়েকবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “দরকার হলে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারদের সম্পত্তির হিসাব (CBI Officer Property) চাইব। তাঁরা যদি সতর্ক হয়ে কাজ না করেন তা হলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখব।”
অতীতে বারবার দেখা গিয়েছে সর্ষের মধ্যেই ভূত। সিবিআই-ইডি অফিসাররাও সন্দেহের ঊর্ধ্বে থাকেন না। তাঁদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যেমন সিবিআইয়ের প্রাক্তন কর্তা রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সিরই অধিকর্তা। অনেকের মতে, এদিন সম্ভবত সেই সন্দেহই প্রকাশ করে হুঁশিয়ার করতে চেয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
সিবিআই প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের আওতায় রয়েছে। সেই কারণেই হয়তো সিবিআইয়ের কার্যকলাপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখার কথা জানিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে বৃহস্পতিবার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। আগে দেখা যেত, এ ধরনের মামলার শুনানি অনেক দিন সমায়ন্তরে হয়। কিন্তু বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে হেস্তনেস্ত করার পণ করেছেন। তিনি নিয়মিত, তথা প্রায় রোজই শুনানি চালাচ্ছেন।
এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সিকে হুঁশিয়ার করে বলেন, “সিবিআইয়ের জন্য খুব খারাপ সময় আসছে। এখনও যদি সিবিআই ঠিকমতো কাজ না করে তাহলে তাদের জন্য খুব খারাপ দিন অপেক্ষা করছে”।
জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের দুর্নীতি কাণ্ডের ব্যাপারে ১০ ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট পেশ করবে সিবিআই।
বিলেতের এজেন্সিকে দিয়ে বাংলার দুর্নীতির তদন্ত করাব: হাইকোর্টে হুঙ্কার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের