
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বুধবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (Recruitment corruption case) শুনানির সময়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেছিলেন, কিছু দালাল নিজেদের মুখপাত্র দাবি করে যা ইচ্ছে বলে যাচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, কারও চাকরি যাবে না। শুক্রবার আবার রাজ্য মন্ত্রিসভা ও তৃণমূল সম্পর্কে কঠোর পর্যবেক্ষণ শুনিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
এরপরই শুক্রবার বিকেলে সরকার ও শাসক দলের তরফ থেকে বিচারব্যবস্থার উদ্দেশে যৌথ বার্তা দেওয়া হয়েছে। একদিকে প্রাক্তন আইন মন্ত্রী তথা বর্তমান অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিচার ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েও বলেছেন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। বিচারপতিরাও আইনের মধ্যেই পড়েন। আবার কারও নাম না করে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেছেন, কেউ যদি নিজেকে অরণ্যদেব ভেবে থাকেন, তা হলে দুর্ভাগ্যজনক।
শুক্রবার বিকেলে দলীয় তরফে সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল বলেন, বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু কেউ যদি তাঁর ব্যক্তিগত ইচ্ছা তথা উইশ লিস্ট পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে প্রচার পেতে চান, তা হলে তা দুর্ভাগ্যজনক।
কুণাল আরও বলেন, বিচারব্যবস্থা ঠিক আছে বলেই সমাজ সুস্থির রয়েছে। বিচারপতিরা নির্দেশ দিলে মানুষ তা মাথা পেতে নেয়। সরকার ভুল করলে তা নিয়েও বিচার ব্যবস্থা বলতে পারেন। কিন্তু তার জন্য কেউ একটা রাজনৈতিক দলকেই তুলে দিতে বলবেন! আর কেউ যদি সেটা বলেন, অর্থাৎ আমাদের দল তুলে দেবে বলেন, আমরা কি তাঁকে রসগোল্লা খাওয়াব নাকি?
প্রসঙ্গত, শুক্রবার নিয়োগ মামলার পর্যবেক্ষণে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, অযোগ্যদের পাশ থেকে মন্ত্রিসভা না সরে দাঁড়ালে গোটা ক্যাবিনেটকেই মামলার পার্টি করে দিতে পারি। পরে এক সময়ে তিনি বলেন, আমি কি নির্বাচন কমিশনকে বলব তৃণমূলের প্রতীক বাতিল করে দিতে?
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম না নিলেও এরপরই পাল্টা সরব হয়েছেন সরকার ও তৃণমূলের মুখপাত্ররা। কুণাল বলেন, একজন মঙ্গল গ্রহ থেকে এসে অরণ্যদেব সাজতে চাইছেন! দয়া করে এটা ভাববেন না, কেউ কিছু করছে না। চেয়ারের ক্ষমতাবলে রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা পূরণ করার চেষ্টাও করবেন না। বিচারকের চেয়ারে বসে রাজনৈতিক বক্তৃতা বন্ধ হোক।’
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে বার্তা চন্দ্রিমার, উনি বললেই তৃণমূলের প্রতীক বাতিল হয়ে যাবে না