
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এক সপ্তাহ সব শান্ত ছিল। তবে নতুন করে আবার বিপদ ঘনিয়েছে উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠে (Joshimath)। নতুন আরও পাঁচটি বাড়িতে দেখা দিয়েছে ফাটল (buildings crisis)। যাতে বিপদ আঁচ করছেন স্থানীয়রা। বিপর্যয়ের আঁচ পেতে জোশীমঠের বাড়ির দেওয়ালে ‘ক্র্যাকোমিটার’ নামক ফাটল মাপার যন্ত্র বসিয়েছিল প্রশাসন। ফাটল চওড়া হওয়ায় সেই বাড়ির বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জোশীমঠের জনৈক বাসিন্দা আশিস দিমরির বাড়ি নতুন করে ফাটলের কবলে পড়েছে। মা, স্ত্রী এবং দুই সন্তান নিয়ে থাকেন আশিস। তিনি তাঁর বাড়িটিকে ‘বিপজ্জনক’ হিসাবে চিহ্নিত করার আবেদনও জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “বাড়ির মধ্যে পা রাখলেই বড় বড় ফাটল দেখা যাচ্ছে। আমরা এই বাড়িতে থাকছি বটে, কিন্তু খুব ভয় করছে।”
এর পাশাপাশি আশিসের অভিযোগ, তিনি তাঁর বাড়ির পরিস্থিতি জানিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, আশিসের বাড়িতেও বসানো হয়েছিল ফাটল মাপার যন্ত্র।
এ প্রসঙ্গে চামোলির জেলাশাসক হিমাংশু খুরানা বলেন, “৫টি নতুন বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। বাড়িগুলিতে আমরা ‘ক্র্যাকোমিটার’ বসিয়েছি। যদি পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়, আমরা অবিলম্বে এই বাসিন্দাদেরও অন্যত্র সরিয়ে দেব।”
জানুয়ারি মাসের শুরু থেকে বিপর্যয়ের মুখে উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠ। গাড়োয়াল হিমালয়ের বুকে সাজানো এই শহর আচমকা নীচের দিকে বসে যেতে শুরু করেছে। শহরের একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাটল চওড়া হয়েছে রাস্তাঘাটেও। কোনও কোনও বাড়ি বাসিন্দাদের চোখের সামনেই ভেঙে পড়েছে হুড়মুড়িয়ে।
এই পরিস্থিতিতে বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত জোশীমঠের মোট ৮৬৮টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। তার মধ্যে ১৮১ বাড়ি বিপজ্জনক এলাকায়।