Latest News

জনসন বেবি পাউডারের বিক্রি বন্ধ হচ্ছে আমেরিকা, কানাডায়, কোম্পানি বলছে করোনাই কারণ

দ্য ওয়াল ব্যুরো: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাতে জনসন বেবি ট্যালকম পাউডারের বিক্রি বন্ধ করছে জনসন অ্যান্ড জনসন। মঙ্গলবার এই মার্কিন বহুজাতিক সংস্থার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, করোনা মহামারীর কারণে চাহিদা কমে যাওয়াও এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে সংস্থা। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির বিবেচনা করে পরে ফের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

সংস্থার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভাইরাস সংক্রমণের প্রভাবে আমেরিকা ও কানাডায় সংস্থার প্রোডাক্টের চাহিদা অনেক কমেছে। গত তিন মাসে সংস্থার লাভের অঙ্কও বিশেষ বাড়েনি। তাই আপাতত বন্ধ থাকবে বিক্রি। যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা ছাড়া বাকি দেশগুলোয় বিপণন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক গতিতে চলবে বলে জানানো হয়েছে।

বাচ্চাদের জন্য মোটেও সুরক্ষিত নয় জনসন বেবি পাউডার, এমন অভিযোগ উঠেছিল আগেই। বিশ্বের নানা প্রান্তের ড্রাগ কন্ট্রোল ব্যুরোর গবেষকরা দাবি করেছিলেন,  জনসন বেবি শ্যাম্পু, বেবি পাউডার ও ট্যালকম পাউডারে রয়েছে বিষাক্ত রাসায়নিকের উপস্থিতি যা থেকে হতে পারে ক্যানসার।

২০১৮ সালে ২২ জন মহিলার ও তাঁদের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে নিউ জার্সির একটি আদালতে সংস্থার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়। সব মিলিয়ে সংস্থার বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ১৬ হাজারেরও বেশি মামলা দায়ের হয়েছে। শিশুদের জন্য জনসনের তৈরি পাউডারের বিরুদ্ধেও মামলা রয়েছে। অভিযোগকারীদের আইনজীবীরা বলেছেন, জনসনের ট্যালকম পাউডারে রয়েছে ক্ষতিকর অ্যাসবেস্টস। মামলাকারীদের আরও অভিযোগ, তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে সংস্থা জানত, তাদের বেবি পাউডারে মিশে রয়েছে এই ক্ষতিকর রাসায়নিক। অথচ সেই তথ্য গোপন করে বাজারে ঢালাও বিক্রি হয়েছে তাদের প্রোডাক্ট।

একই দাবি করা হয়েছিল রয়টার্সের একটি রিপোর্টেও। ২০১৮ সালেই রয়টার্সের রিপোর্ট সামনে আসার পরে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছিল। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল,  ১৯৭১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত একাধিক বার পরীক্ষা করা হয় জনসনের বেবি পাউডার৷ প্রতিবারই পরীক্ষার পরে তাতে মেলে বিষাক্ত খনিজ অ্যাসবেস্টস৷ বেশ কিছু ক্ষেত্রে মামলায় হেরে গিয়ে মামলাকারীদের মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতেও বাধ্য হয় জনসন৷ এমনকি জনসাধারণকে সতর্ক করার বদলে, জনসনের শীর্ষ কর্তা থেকে বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, আইনজীবী সকলেই এই সত্যিটাকে সুকৌশলে দিনের পর দিন চাপা দিয়ে এসেছেন।

যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে জনসন অ্যান্ড জনসন দাবি করেছে,  ট্যালকম পাউডার বহুবার পরীক্ষা করে দেখা গেছে সেটি নিরাপদ এবং পণ্যে ক্যানসার হওয়ার মতো ক্ষতিকারক কোনও উপাদান নেই। একই সঙ্গে আদালতের বিচারপ্রক্রিয়া অন্যায্য বলেও দাবি করা হয়েছে সংস্থার তরফে। বিবৃতি দিয়ে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর আমেরিকায় জনসন বেবি প্রোডাক্টের চাহিদা কমে গেছে এইসব অপপ্রচারের জন্য।  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে না হলেও বিশ্বের অন্যান্য বাজারে তাদের ট্যালকম পাউডার ও বেবি প্রোডাক্টের বিক্রি চালু থাকবে বলে জানিয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন।

You might also like