
বহুদিন ধরেই নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছে ভারত। বাইডেন কার্যত ভারতের দাবি সমর্থন করেছেন। গত জুন মাসে ভারত জানায়, ইন্টার গভর্মেন্টাল নেগোসিয়েশনের নামে নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার স্থগিত রাখা চলবে না।
বর্তমানে নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য হিসাবে আছে পাঁচটি দেশ। অস্থায়ী সদস্য হিসাবে আছে আরও ১০ টি দেশ। তাদের সদস্যপদের স্থায়িত্ব দু’বছর। পাঁচ স্থায়ী সদস্যের মধ্যে আছে রাশিয়া, চিন, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং আমেরিকা। এই দেশগুলি যে কোনও প্রস্তাব ভেটো দিয়ে রদ করতে পারে।
নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপের সদস্য মোট ৪৮ টি দেশ। তারা পরমাণু চুল্লি বানানোর উপযোগী কাঁচামাল সরবরাহ করে। ২০১৬ সালে ভারত ওই গোষ্ঠীতে স্থান পাওয়ার জন্য আবেদন করেছে। কিন্তু চিন বলেছে, একমাত্র যে দেশগুলি পরমাণু অস্ত্র প্রসার রোধ চুক্তিতে সই করেছে, তাদেরই নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপে স্থান পাওয়া উচিত। ভারত পরমাণু অস্ত্র প্রসার রোধ চুক্তিতে সই করেনি।
মোদী শুক্রবার বাইডেনকে বলেন, “প্রবাসী ভারতীয়রা আমেরিকার প্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। সেজন্য আমি খুশি।” পরে তিনি বলেন, “আজকের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এমন এক সময়ে এই বৈঠক হচ্ছে যখন একুশ শতকের তৃতীয় দশকের সূচনা হয়েছে। এই দশকটি কেমন যাবে তা অনেকাংশে নির্ভর করবে আপনার নেতৃত্বের ওপরে।”
বাইডেন বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক আগামী দিনে দৃঢ়তর হবে সন্দেহ নেই। কোভিড মোকাবিলা, পরিবেশ দূষণ রোধ এবং ভারতীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে নিরাপদ রাখার জন্য আমাদের পরস্পরের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে।”
বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের পরে মোদী যোগ দেন কোয়াড সম্মেলনে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইওশিহিদে সুগা।
ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং আমেরিকা, এই চারটি দেশ নিয়ে কোয়াড গোষ্ঠী গঠিত। শুক্রবার ভারতীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতি, পরিবেশ দূষণ এবং কোভিড অতিমহামারী নিয়েও কোয়াড বৈঠকে আলোচনা হয়।