
স্থানীয় অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ সুপার শঙ্খরাম সেঙ্গার জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছে ধুলকোট গ্রামে। ৫ জানুয়ারি রামকৃষ্ণ সিং নামে নিহত যুবককে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে জঙ্গলের রেস্ট হাউসের কাছে রূপারেল নদী থেকে, তিনি নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর। মামলা দায়ের করে পুলিশ তদন্তের অঙ্গ হিসাবে মোবাইল ফোনের লোকেশন চিহ্নিত করে যা থেকে তাঁর পরিবারের লোকজনের জড়িত থাকারই ইঙ্গিত মেলে বলে জানান পুলিশকর্তা। বলেন, জেরার মুখে নিহত যুবকের বাবা ভিমান সিং, মা যমুনাবাঈ ও বোন কৃষ্ণাবাই তাঁকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। একটি মেয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ার পরও সে কেন আরেকটি মেয়ের সঙ্গে কথা বলবে, এটাই চরম পদক্ষেপের কারণ। তাছাড়া বেশিরভাগ সময় তার ফোনে ব্যস্ত থাকা, উপার্জন না করাও তাঁদের অসন্তোষের কারণ বলে জানিয়েছেন তিনজন। গত ২ জানুয়ারি কথাকাটাকাটির পর রামকৃষ্ণের বাবা তাঁকে ধাক্কা মারলে তাঁর মাথা দেওয়ালে গিয়ে লাগে। ছেলে মারা গিয়েছে ধরে নিয়ে তড়িঘড়ি তিনজন হাত-পা বেঁধে তাঁকে বস্তায় পুরে নদীতে ফেলে দেন।