
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অমিত শাহের বাংলা সফরের মাঝেই বিদ্রোহ ঝাড়গ্রাম বিজেপিতে (Jhargram BJP)। সংবাদমাধ্যমের সামনে গণপদত্যাগ করলেন জেলার ৮০ জন বিজেপি নেতা (BJP Leader)। ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জঙ্গলমহলের এই জেলায় আরও ছন্নছাড়া অবস্থা গেরুয়া শিবিরের।
বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই ঝাড়গ্রাম বিজেপিতে ক্ষোভের আগুন ধিকিধিকি করে জ্বলছিল। মাসখানেক আগে নতুন জেলা সভাপতি হিসেবে তুফান মাহাতোর নাম ঘোষণার পর সেই ক্ষোভ তুঙ্গে ওঠে। সম্প্রতি দলের নতুন মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণার পর ভাঙ্গন শুরু হয় বিজেপিতে। সেই ক্ষোভ থেকেই এদিনের গণপদত্যাগ।
যে ৮০ জন বিজেপি নেতা পদত্যাগ করেছেন তাদের মধ্যে ১৬ জন বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য। বাকিরা মণ্ডল স্তরের বিভিন্ন দায়িত্বে আছেন। বৃহস্পতিবার তাঁরা দলের জেলা কার্যালয়ে আসেন পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বলে। কিন্তু জেলা সভাপতি তুফান মাহাতো বা অন্য কোনও নেতা সেই সময় জেলা কার্যালয়ে ছিলেন না। এরপরই সংবাদমাধ্যমের সামনে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন তাঁরা।
বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির সদস্য চন্দ্রশেখর প্রতিহার বলেন, “আমরা যে জেলা কমিটির সদস্য হয়েছি তা নিজেরাই জানি না। কী কাজ করব তাও জানি না। আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই পদ দেওয়া হয়েছে। কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় সমস্যার মধ্যে পড়ছি। কিন্তু জেলা সভাপতি তুফান মাহাতো আমাদের কোনও গুরুত্ব দিচ্ছেন না। সম্প্রতি মণ্ডল কমিটির তালিকা প্রকাশ হয়েছে। তা নিয়ে দলের কর্মীরা ক্ষুব্ধ। যাদেরকে কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের সাথে সামান্য আলোচনাও করা হয়নি। তাই দলের একজন কর্মী হিসেবে থাকলেও, আমরা দলের কোনও পদে থাকতে চাই না।”
বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম জেলার চারটি কেন্দ্রেই হেরে গিয়েছে বিজেপি। সম্প্রতি পুরসভা নির্বাচনেও ঝাড়গ্রাম পুরসভার ১৮ টি ওয়ার্ডের একটিতেও জিততে পারেনি তারা। আগামী বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। ২০১৮ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনের জেলার ২৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছিল বিজেপি। তবে পরে বেশিরভাগ পঞ্চায়েতই তাদের হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় নেতাদের গণ পদত্যাগে পঞ্চায়েত ভোটের আগে জঙ্গলমহলে বিজেপি আরও কোণঠাসা হয়ে গেল বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।