
দ্য ওয়াল ব্যুরো : রবিবার ইথিওপিয়ার একটি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ জেট ভেঙে পড়ে ১৫৭ জন মারা গিয়েছেন। ভারতেও কয়েকটি উড়ান সংস্থা ওই ধরনের বিমান ব্যবহার করে। ইথিওপিয়ার দুর্ঘটনার পরে ডায়রেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশান স্থির করেছে, এদেশের সংস্থাগুলিকে জিজ্ঞাসা করবে, বোয়িং বিমানগুলির হাল কীরকম? সেগুলি কি নিরাপদ? খুব শীঘ্রই দুই উড়ান সংস্থা জেট এয়ারওয়েজ এবং স্পাইস জেটকে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
রবিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ আদ্দিস আবাবা থেকে উড়েছিল ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান। তার গন্তব্য ছিল নাইরোবি। আকাশে ওড়ার ছয় মিনিটের মাথায় বিমানটি ভেঙে পড়ে। নিহতদের মধ্যে চার ভারতীয় ছিলেন। তাঁদের অন্যতম শিখা গর্গ। তিনি ছিলেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের উপদেষ্টা। এরপরে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ টুইটারে আবেদন জানান, কেউ যেন শিখার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তাঁকে সাহায্য করেন।
কীভাবে ইথিওপিয়ার বিমানটি ভেঙে পড়েছিল পরিষ্কার নয়।
দুর্ঘটনার খবর জানাজানি হতেই চিনের অসামরিক বিমান মন্ত্রক বোয়িং ম্যাক্স ৮ জেট ওড়ানো বন্ধ করে দেয়। এদেশে জেট এয়ারওয়েজ এবং স্পাইসজেট, দু’টি সংস্থাই বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ জেট ব্যবহার করে। স্পাইসজেট জানিয়েছে, তাদের ১৩ টি বোয়িং বিমান আছে। জেট এয়ারওয়েজ এখনও এসম্পর্কে কিছু জানায়নি।
বোয়িং সংস্থা জানিয়েছে, তারা দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে তদন্তে সাহায্য করবে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যাঁরা দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে আন্তরিক সহানুভূতি জানাই। ইথিওপিয়ার এয়ারলাইনসের টিমকেও সাহায্য করতে আমরা তৈরি। প্লেনটি যেখানে ভেঙে পড়েছিল সেখানে দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্ত করতে যাবে ইথিওপিয়া অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশান সেফটি বোর্ডের সদস্যরা। তাঁদের সঙ্গে বোয়িং-এর একটি টেকনিক্যাল টিমও যাবে বলে জানা যায়।
কয়েক মাসের মধ্যে এই নিয়ে দু’বার বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ প্লেন দুর্ঘটনায় পড়ল। গত অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানীর জাকার্তার কাছে সমুদ্রে লায়ন এয়ার সংস্থার একটি বোয়িং বিমান ভেঙে পড়ে। ওড়ার ১৩ মিনিটের মাথায় দুর্ঘটনা হয়। বিমানের ১৮৯ জন যাত্রীই মারা যান।
একই মডেলের বিমান অল্পদিনের মধ্যে দু’বার দুর্ঘটনায় পড়ায় প্রশ্ন উঠেছে, ওই ধরনের প্লেনে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি আছে কিনা। চিন তেমন সন্দেহ করেই আগেভাগে ওই বিমানের উড়ান বন্ধ রেখেছে।