দ্য ওয়াল ব্যুরো: জাওয়াদ ক্রমশই শক্তি হারাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় শুরুতে দুর্বল হয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু আগামী তিন ঘণ্টায় আরও শক্তি ক্ষয় করে সেটি সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে, এমনটাই জানাল আলিপুর হাওয়া অফিস। আপাতত জাওয়াদ উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে বিরাজ করছে। সেখান থেকে ওড়িশার উপকূল ধরে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে এগোবে। তবে জাওয়াদ গেলেই জাঁকিয়ে বসতে পারে শীত, এমন সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রাতের মধ্যেই আরওই শক্তি হারাবে সেই ঘূর্ণি। ৫ তারিখ দুই মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সোমবার শুধু দুই মেদিনীপুর ও বাংলাদেশের লাগোয়া জেলাতে বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে ৭ ডিসেম্বর থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে।
পশ্চিমবঙ্গের উপকুলে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইবে। মৎস্যজীবীদের ৬ তারিখ পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কলকাতায় রবিবার এবং সোমবার সকাল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সোমবার থেকে উপকূলে বাতাসের বেগ কমবে। আগামী ১১ তারিখ থেকে তাপমাত্রার পারদ নামবে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি।
ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হয়ে অতি গভীর নিম্নচাপ রূপে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে বিরাজ করছে। এটি আগামী ৩ ঘণ্টার শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপ রূপে থাকবে। ওড়িশায় উপকূল ধরে পশ্চিম বঙ্গ উপকূলে এগোবে। রাতে আরও শক্তি হারাবে। ৫ তারিখ দুই মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি বাকি জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে।
সরকারি সূত্রের খবর, জাওয়াদর আশঙ্কায় এখনও পর্যন্ত মোট ২৪ হাজার ৩৭৫ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে। ৮২টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। এমার্জেন্সির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে আরও ২২৫টি ত্রাণ শিবির। বিপর্যয় মোকাবিলা দল মোতায়েন করে রাখা হয়েছে জায়গায় জায়গায়। জোগাড় করে রাখা হয়েছে খাওয়ার জলের বোতল, ত্রিপল, চাল ইত্যাদি। মেডিক্যাল টিমও প্রস্তুত আছে প্রয়োজন বুঝে। সমস্ত মৎস্যজীবীরা সমুদ্র থেকে ফিরে এসেছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।