
যে বন্ধুকে খাসোগি ওই মেসেজ পাঠিয়েছিলেন, তাঁর নাম ওমর আবদুল আজিজ। তিনিও সৌদি আরবের নাগরিক ছিলেন। দেশ থেকে নির্বাসিত হয়ে থাকেন মন্ট্রিয়েলে। তাঁকে সব মিলিয়ে ৪০০ মেসেজ পাঠিয়েছেন খাসোগি। তার সঙ্গে আছে ছবি আর ভিডিও। মেসেজ থেকে বোঝা যায়, খাসোগি খুব উদ্বেগে ছিলেন। তিনি লিখেছেন, যুবরাজ যতজনকে খাবেন, তাঁর খিদে ততই বৃদ্ধি পাবে। তাঁর অত্যাচার যেভাবে বাড়ছে, এরপর যদি নিজের সমর্থকদের ধ্বংস করেন আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।
২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৮ সালের অগাস্ট পর্যন্ত নিয়মিত খাসোগি এবং আবদুল আজিজের মধ্যে মেসেজ লেনদেন হত। তাঁরা পরিকল্পনা করেছিলেন, সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে সৌদির যুবকদের মধ্যে প্রচার চালাবেন।
রবিবার এক সাক্ষাৎকারে আবদুল আজিজ বলেছেন, খাসোগি বিশ্বাস করতেন, যুবরাজকে নিয়েই যত সমস্যা। তাঁকে যে করেই হোক থামানো দরকার। গত অগাস্টে তিনি লিখেছেন, ঈশ্বর আমাদের সাহায্য করুন। তার দু’মাস পরেই তিনি মারা যান।
রবিবার ইজরায়েলের এক সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন আবদুল আজিজ। তাঁর অভিযোগ, ওই সংস্থার তৈরি সফটওয়ারের সাহায্যেই তাঁর ফোন হ্যাক করা হয়েছিল। তাঁর কথায়, আমার ফোন হ্যাক করেই খাসোগির বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিল খুনিরা। সেজন্য আমিও অপরাধবোধে ভুগি।
আবদুল আজিজ স্কলারশিপ নিয়ে কানাডায় পড়তে গিয়েছিলেন। তখনই সৌদি সরকারের নানা নীতির বিরুদ্ধে সরব হন। সেকথা জানতে পেরে সরকার তাঁর স্কলারশিপ বাতিল করে দেয়। তাঁকে আশ্রয় দেয় কানাডা সরকার। গত মাসে তিনি খাসোগির হয়ে মুখ খোলেন। তার আগে ইউনিভার্সিটি অব টরেন্টোর গবেষকরা জানিয়েছিলেন, আবদুল আজিজের ফোনে হ্যাক করা হয়েছে। সাধারণত মিলিটারিতে যে ধরনের সফট ওয়ার ব্যবহার করা হয়, তার সাহায্যেই ওই ফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল।