Latest News

সৌদির যুবরাজ মানুষখেকো, খুন হওয়ার আগে মেসেজ পাঠিয়েছিলেন খাসোগি

দ্য ওয়াল ব্যুরো : গত অক্টোবরে ইস্তানবুলে সৌদি আরবের দূতাবাসের মধ্যে খুন হয়েছেন সাংবাদিক জামাল খাসোগি। অভিযোগ, সৌদির প্রবল প্রতাপশালী যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের সমালোচনা করার জন্যই তিনি মারা পড়েছেন। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে খাসোগি বুঝতে পেরেছিলেন, যে কোনও সময় বিপদে পড়তে পারেন। তিনি এক বন্ধুকে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পাঠিয়ে বলেছিলেন, সৌদির যুবরাজ একটা পশু। তিনি সবাইকেই গিলে খেতে পারেন। এমনকী নিজের সমর্থকদের পর্যন্ত তিনি গিলে ফেলেন।

যে বন্ধুকে খাসোগি ওই মেসেজ পাঠিয়েছিলেন, তাঁর নাম ওমর আবদুল আজিজ। তিনিও সৌদি আরবের নাগরিক ছিলেন। দেশ থেকে নির্বাসিত হয়ে থাকেন মন্ট্রিয়েলে। তাঁকে সব মিলিয়ে ৪০০ মেসেজ পাঠিয়েছেন খাসোগি। তার সঙ্গে আছে ছবি আর ভিডিও। মেসেজ থেকে বোঝা যায়, খাসোগি খুব উদ্বেগে ছিলেন। তিনি লিখেছেন, যুবরাজ যতজনকে খাবেন, তাঁর খিদে ততই বৃদ্ধি পাবে। তাঁর অত্যাচার যেভাবে বাড়ছে, এরপর যদি নিজের সমর্থকদের ধ্বংস করেন আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।

২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৮ সালের অগাস্ট পর্যন্ত নিয়মিত খাসোগি এবং আবদুল আজিজের মধ্যে মেসেজ লেনদেন হত। তাঁরা পরিকল্পনা করেছিলেন, সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে সৌদির যুবকদের মধ্যে প্রচার চালাবেন।

রবিবার এক সাক্ষাৎকারে আবদুল আজিজ বলেছেন, খাসোগি বিশ্বাস করতেন, যুবরাজকে নিয়েই যত সমস্যা। তাঁকে যে করেই হোক থামানো দরকার। গত অগাস্টে তিনি লিখেছেন, ঈশ্বর আমাদের সাহায্য করুন। তার দু’মাস পরেই তিনি মারা যান।

রবিবার ইজরায়েলের এক সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন আবদুল আজিজ। তাঁর অভিযোগ, ওই সংস্থার তৈরি সফটওয়ারের সাহায্যেই তাঁর ফোন হ্যাক করা হয়েছিল। তাঁর কথায়, আমার ফোন হ্যাক করেই খাসোগির বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিল খুনিরা। সেজন্য আমিও অপরাধবোধে ভুগি।

আবদুল আজিজ স্কলারশিপ নিয়ে কানাডায় পড়তে গিয়েছিলেন। তখনই সৌদি সরকারের নানা নীতির বিরুদ্ধে সরব হন। সেকথা জানতে পেরে সরকার তাঁর স্কলারশিপ বাতিল করে দেয়। তাঁকে আশ্রয় দেয় কানাডা সরকার। গত মাসে তিনি খাসোগির হয়ে মুখ খোলেন। তার আগে ইউনিভার্সিটি অব টরেন্টোর গবেষকরা জানিয়েছিলেন, আবদুল আজিজের ফোনে হ্যাক করা হয়েছে। সাধারণত মিলিটারিতে যে ধরনের সফট ওয়ার ব্যবহার করা হয়, তার সাহায্যেই ওই ফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল।

You might also like