
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অদ্ভুত ভাবেই হারিয়ে গিয়েছিল পুরীর জগন্নাথ মন্দিররে রত্নভাণ্ডারের চাবি। আচমকাই খুঁজেও পাওয়া গেল সেই চাবি। তাও আবার একটা সিল করা খামের ভিতরে। গোটা বিষয়টাকেই ‘মিরাকল’ হিসেবেই দেখছেন পুরীর কালেক্টর অরবিন্দ আগরওয়াল।
গত ৪ এপ্রিল মন্দিরের কমিটির বৈঠকেই প্রথম রত্নভাণ্ডারের চাবি হারানোর কথা প্রকাশ্যে আসে। এ বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন পুরীর শঙ্করাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী। চাবি খুঁজে বের করার জন্য তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার কিছু দিন পরেই ঘটল এই ‘মিরাকল’। বুধবার অরবিন্দ আগরওয়াল চাবি খুঁজে পাওয়া কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানান, একটি সিল করা খামের মধ্যে ছিল ওই চাবির গোছা। অরবিন্দ বলেন,” চাবি হারানোর ফলে আমরা আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। এটা ভগবানের আশীর্বাদ।” তবে যে চাবি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে তা ‘ডুপ্লিকেট চাবি’। আর আচমকাই এ ভাবে চাবি খুঁজে পাওয়ায় নতুন করে তৈরি হয়েছে রহস্য।
ভারতের ধনী মন্দিরগুলোর মধ্যে একটি হল পুরীর জগন্নাথ মন্দির। এই মন্দিরে রয়েছে দু’টি রত্নভাণ্ডার। ভিতর ভাণ্ডার এবং বাহার ভাণ্ডার। দু’টি রত্নভাণ্ডারেই রয়েছে সাতটি করে কক্ষ। প্রথম দুটি ঘর হল বাইরের কক্ষ। বাকী তিনটি কক্ষকে বলা হয় অভ্যন্তরীণ কক্ষ।
১৯৮৪ সালে রত্ন ভাণ্ডারের সাতটি কক্ষের মধ্যে মাত্র তিনটি খোলা হয়েছিল পরিদর্শন করার জন্য। এর ৩৪ বছর পর এ বছর ৪ এপ্রিল ওড়িশা হাইকোর্টের নির্দেশে ১৬ সদস্যের একটি দলের ওই রত্নভাণ্ডারে প্রবেশ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার কথা ছিল। পাশাপাশি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার একদল বিশেষজ্ঞেরও রত্নভাণ্ডারের কাঠামো পরীক্ষা করে দেখা কথা ছিল। কিন্তু চাবি না থাকায় কোনও দলই প্রবেশ করতে পারেননি জগন্নাথ মন্দিরের ওই রত্নভাণ্ডারে।