Latest News

ধর্মতলা অগ্নিগর্ভ! পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, চলল টিয়ারগ্যাস

দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুলিশের (Kolkata Police) সঙ্গে আইএসএফ (ISF) সমর্থকদের খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্র ধর্মতলা (Dharmatala)। ভাঙড়ে তৃণমূলের সঙ্গে আইএসএফ কর্মীদের অশান্তির আঁচ পড়ল কলকাতাতেও। বিক্ষোভ থামাতে শেষ অবধি টিয়ার গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। দলের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকিকে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইটও।

এদিন দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ধর্মতলার রানি রাসমনি রোডে সভা হওয়ার কথা ছিল আইএসএফের। অন্যদিকে এই সভা বানচালের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই নিয়ে শনিবার সকালে দু’দলের একপ্রস্থ ধুন্ধুমার হয় ভাঙড়ে। এরপরই রানি রাসমণি রোডে থাকা আইএসএফ কর্মীরা ধর্মতলা মোড়ের কাছে অবস্থানে বসে পড়ে। দাবি ওঠে, ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করতে হবে।

এরপরই সেখানে পৌঁছয় কলকাতা পুলিশ। প্রথমে তাঁদের অবস্থান তুলে নেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু নিজেদের দাবিতে অনড় ছিল আইএসএফও। সেইসময় নওসাদ ম্যাটাডোরে উঠে দাঁড়িয়েছিলেন। হঠাৎই তিনি বক্তব্য দিতে শুরু করলে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে আনে কলকাতা পুলিশ। এরপর প্রিজন ভ্যানে ঢুকিয়ে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।

অন্যদিকে আইএসএফ কর্মীদের জোরজবরদস্তি তুলতে গেলে শুরু হয়ে যায় ধুন্ধুমার। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে কর্মীরা। এরপরই কলকাতা পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে নামানো হয় র‍্যাফ। এদিকে পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। পাশাপাশি বাঁশ-লাঠি নিয়েও তেড়ে যায় আইএসএফ কর্মীরা। শেষ অবধি কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে কলকাতা পুলিশ। ঘটনায় দু’পক্ষেরই অনেকজন আহত হয়েছেন।

এই সংঘর্ষের জেরে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা ধর্মতলা চত্বর। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। কেসি দাশের মোড় থেকে একদম ভারতীয় জাদুঘর অবধি এলাকা স্তব্ধ হয়ে পড়ে। শেষ অবধি আরও পুলিশ ফোর্স এসে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। প্রায় দেড়ঘণ্টার চেষ্টায় শেষ অবধি নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।

ভাঙড়ে তৃণমূল–আইএসএফ সংঘর্ষ, পতাকা লাগানো নিয়ে অশান্তি শুরু

You might also like