
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নানারকম সরকারি সুযোগসুবিধা হোক বা বিনোদনের ফুরসত, তা দক্ষিণবঙ্গের মানুষরা যতটা উপভোগ করতে পারেন, উত্তরবঙ্গের বাসিন্দারা পারেন না। তাঁরা বঞ্চিত থেকে যান বহুকিছু থেকেই, এ অভিযোগ বরাবরের। এবার ছবিটা বদলাল। উত্তরবঙ্গের ভ্রমণপিপাসুদের সাধ্যের মধ্যে সাধ মেটাতে এগিয়ে এল আইআরসিটিসি। ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে এই প্রথম উত্তরবঙ্গ থেকে ভারতের বিভিন্ন তীর্থস্থান দর্শনের জন্য চালু হতে চলেছে রামপথ দর্শন ট্রেন।
জলপাইগুড়ি প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠক করে এই নতুন ট্রেনের কথা ঘোষণা করেছেন আইআরসিটিসি কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি নিউ কোচবিহার থেকে এই ট্রেনটির যাত্রা শুরু হবে।
ট্রেনটি ময়নাগুড়ি রোড স্টেশন, জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন, এনজেপি, কাটিহার-এই চারটি স্টেশনে স্টপেজ দিয়ে তীর্থযাত্রীদের নিয়ে যাত্রা শুরু করবে। তীর্থস্থানের তালিকায় থাকছে, বারাণসীর কাশি, অযোধ্যার রাম জন্মভূমি, হরিদ্বার, ঋষিকেশ, রামঝুলা ও লক্ষ্মণঝুলা, মথুরা, বৃন্দাবন, প্রয়াগরাজ।
মোট আট দিন, নয় রাত্রির এই ট্রেনযাত্রা। যাত্রীদের সম্পূর্ণ নিরামিষ খাবার দেওয়া হবে। প্রতিদিন সকালে চায়ের পরে দুপুরের খাবার, বিকেলে ফের চা, এর পর রাতের খাবারের ব্যবস্থা। এছাড়া টিফিনের ব্যবস্থাও থাকছে। প্রতিবার পর্যাপ্ত খাবার দেওয়া হবে। বয়স্ক মানুষজনের কথা মাথায় রেখে প্রতিটি কামরার জন্য এসকর্ট সার্ভিসের লোকেরা থাকবে। কোভিড বিধি মেনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা থাকছে ট্রেনে। প্রত্যেককে দেওয়া হবে কোভিড কিট। এছাড়া একটি কামরা সম্পূর্ণ ফাঁকা থাকবে। ট্রেনে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে সেই কামরায় রাখা হবে। প্রত্যেক যাত্রী পিছু ৮,৫০৫ টাকা করে ধার্য করা হয়েছে বলে জানান উদ্যোক্তারা।
উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিন ধরে চাহিদা ছিল কম খরচে তীর্থস্থান দর্শন করানোর। এর জন্য বিভিন্ন ট্যুর অপারেটরদের কাছে লাগাতার দাবি জানিয়েছিল পর্যটকদের একটা বড় অংশ। সমস্যা সমাধান করল আইআরসিটিসি।
www.irctctoirism.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টিকিট কাটা যাবে বলে জানিয়েছে আইআরসিটিসি কর্তৃপক্ষ।