
ইরানের সরকারি টিভিতে জানানো হয়েছে, দেশের দক্ষিণে শিরাজ শহরে এক কারাগারে আফকারির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। অভিযোগ, ২০১৮ সালের ২ অগাস্ট তিনি সরকারি কর্মচারী হোসেইন টর্কমানকে ছুরি মেরে হত্যা করেন। তিনি দোষ স্বীকার করেছিলেন।
কিছুদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান সরকারকে অনুরোধ করেন যাতে ওই কুস্তিগিরকে মৃত্যুদণ্ড না দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। এদিন ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি জানিয়েছে, আফকারির মৃত্যুদণ্ড হওয়ায় আমরা গভীর দুঃখ পেয়েছি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন তাঁর প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করেছিল। কিন্তু ইরান সরকার সেকথা শোনেনি। আমরা মৃত কুস্তিগিরের পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি সহানুভূতি জানাচ্ছি।
মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, গোপনে ওই কুস্তিগিরকে হত্যা করা হল। এই ঘটনার মধ্যে ন্যায়বিচারের লেশমাত্র নেই। ইরানের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক মহলের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আফকারির ‘স্বীকারোক্তি’ সম্পর্কে অ্যামনেস্টি বলেছে, অত্যাচার করে তাঁকে দিয়ে বলানো হয়েছিল, তিনিই খুন করেছেন।
অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, আফকারির দুই ভাই ভাহিদ ও হাবিবও শিরাজ শহরের জেলে আটক আছেন। সরকার বলেছে, যে ব্যক্তিকে আফকারি খুন করেছিলেন, তাঁর পরিবারের অনুরোধে ওই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। আফকারির উকিল হাসান ইউনেসি জানিয়েছেন, শিরাজ শহরের অনেকে স্থির করেছিলেন, রবিবার তাঁরা মৃত সরকারি কর্মী হোসেইন টর্কমানের বাড়িতে যাবেন। আফকারিকে যাতে ক্ষমা করা হয়, সেজন্য তাঁদের অনুরোধ করবেন।
পরে হাসান বলেন, ইরানের আইনে বলা আছে, অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে তাকে তার পরিবারের লোকের সঙ্গে দেখা করতে দিতে হবে। কিন্তু আফকারিকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাঁর প্রশ্ন, “এত কীসের তাড়া ছিল যে মৃত্যুর আগে আফকারিকে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হল না?”
এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট করে বলেন, সরকার বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাড়া আফকারির কোনও অপরাধ ছিল না।