
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কয়লাপাচার মামলার (Coal Scam) তদন্ত সূত্রে রাজ্যের আট আইপিএস (IPS Officer) অফিসারকে দিল্লির সদর দফতরে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। গতকাল সোমবার হাজিরার দিন ছিল এডিজি এসটিএফ জ্ঞানবন্ত সিংয়ের। কিন্তু তিনি যাননি। তবে মঙ্গলবার ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার প্রধান কোটেশ্বর রাও।
এদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ কোটেশ্বর পৌঁছন ইডি দফতরে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় দুপুর সওয়া ১টা পর্যন্ত কোটেশ্বর রয়েছেন ইডি দফতরেই। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির কর্তারা। জানিয়ে রাখা ভাল, কয়লা কাণ্ডে গত বছর কোটেশ্বর রাও তলব করেছিল সিবিআই। অর্থাৎ এই মামলায় গোড়ায় থেকেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি জিজ্ঞাসাবাদের তালিকায় তাঁর নাম রেখেছে।
বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তি! সুপ্রিম কোর্টে গেলেন মহুয়া
জ্ঞানবন্ত সিং, কোটেশ্বর রাও ছাড়াও তথাগত বসু, রাজীব মিশ্র, ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, শ্যাম সিং, সুকেশ জৈন, সেলভা মুরুগানকে তলব করেছে ইডি।
কেন এঁদের তলব?
কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সির বক্তব্য, যে সময়ে কয়লা পাচারের রমরমা চলেছিল সেই সময়ে এঁরা প্রত্যেকেই পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বীরভূম পুলিশের দায়িত্বে ছিলেন। ইডি বারবার আদালতে দাবি করে এসেছে, পুলিশ, পাচারকারী, রাজনৈতিক নেতাদের নিপুণ বোঝাপড়া না থাকলে এই ধরনের পাচার দিনের পর দিন সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে কয়লা সামলানোর কেন্দ্রীয় সংস্থা ইসিএলকেও কাঠগড়ায় তুলেছে ইডি। ইতিমধ্যেই ইসিএলের একাধিক কর্তা গ্রেফতার হয়েছেন।
রাজ্যের আইপিএস অফিসারদের দিল্লিতে ডেকে পাঠানো নয়ে স্বাধীনতাদিবসের প্রাক সন্ধ্যায় গর্জে উঠেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, ভয় পাইয়ে দিতেই পুলিশ অফিসারদের তলব করা হচ্ছে।
সোমবার জ্ঞানবন্ত না গেলেও এদিন দিল্লি গিয়েছেন কোটেশ্বর রাও। এখন দেখার বাকি ছয় অফিসার কী করেন।