
মুসলিম সংগঠনগুলির বিক্ষোভের প্রতিবাদে শনিবার বন্ধ ডাকা হয়েছিল। তখন কয়েকটি দোকান লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। অমরাবতীর পুলিশ কমিশনার আরতি সিং জানান, গুজব ছড়ানো বন্ধ করতে আপাতত ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে। শহরে আগেই কার্ফু জারি করা হয়েছিল। তার মেয়াদ চারদিন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
অমরাবতী শহরটি মুম্বই থেকে ৬৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। শনিবার সকালে কয়েকশ লোক গেরুয়া পতাকা নিয়ে শহরের রাজকমল চৌক এলাকায় জড়ো হয়। তাদেরই কেউ কেউ দোকান লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে। পরপর দু’দিন শহরে হিংসা ছড়ানোর পরে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সন্দীপ পাতিল ১৪৪ ধারা জারি করেন। চিকিৎসার প্রয়োজনে ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়।
শুক্রবার অমরাবতী বাদে নানদেদ, মালেগাঁও, ওয়াশিম ও যবতমলে মুসলিম সংগঠনগুলির মিছিলের ওপরে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। পুলিশ এখনও পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে। আটক করেছে আরও চারজনকে। শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত শনিবার বলেছেন, মহারাষ্ট্রের জোট সরকারকে বিপদে ফেলার জন্যই হিংসা ছড়ানো হচ্ছে। আওরঙ্গাবাদে সাংবাদিক বৈঠকে সঞ্জয় রাউত বলেন, এই হিংসার জন্য যারা দায়ী, তাদের শীঘ্র খুঁজে বার করবে রাজ্য সরকার।
শিবসেনা সাংসদ বলেন, বিরোধীরা প্রথমে হিংসা ছড়াবেন। তারপর তাঁরা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বলবেন, মহারাষ্ট্রে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। কিন্তু সরকার এই প্রচেষ্টা শক্ত হাতে দমন করবে।
মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রী যশোমতী ঠাকুর বলেন, সমাজবিরোধীরা দোকান লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ছে। তাদের উদ্দেশ্য অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করা। এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। বিরোধী নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন, ত্রিপুরায় কিছুই ঘটেনি। হিংসার অজুহাতে মিছিল বার করাও ঠিক নয়।
দিল্লিতে বিজেপি মন্তব্য করে, রাহুল গান্ধী এবং অন্যান্য কংগ্রেস নেতা নানা মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছেন। তার জন্যই অমরাবতীতে হিংসা ছড়িয়েছে।