
‘মহিলারা মন্ত্রী হতে পারে না, শুধু বাচ্চার জন্মই দিক!’ তালিবান মুখপাত্র
তালিবানের মন্ত্রীতালিকায় সবাই পুরুষ, কট্টরপন্থী। কেন মহিলাদের মন্ত্রিসভায় স্থান হল না, সেই প্রশ্ন তুলে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাবুলের রাস্তায় রাস্তায় গত কয়েকদিন ধরে যে মহিলা বিক্ষোভ চলছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে সঈদ জেকরুল্লা হাসনি নামে তালিবানি মুখপাত্র টোলো নিউজকে বলেছেন, একজন মহিলা মন্ত্রী হতে পারে না। এটা তার গলায় এমন কিছু ঝুলিয়ে দেওয়ার সমান যা সে বহন করতে পারে না। একজন মহিলার মন্ত্রিসভায় থাকা প্রয়োজনীয় নয় বলে মন্তব্য করে তাঁর সংযোজন, মহিলাদের সন্তান জন্ম দেওয়া উচিত। কাবুলের রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শনকারী মহিলারা আফগানিস্তানের সব মহিলার প্রতিনিধিত্ব করেন না বলেও জানিয়ে দেন তিনি।
বাইডেন জিনপিং ফোনালাপ সাত মাস পর, কী কথা হল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধানের
বর্তমান তালিবান শাসনে গত দুদশকে নাগরিক অধিকারের ক্ষেত্রে অর্জিত যাবতীয় সাফল্য তাঁরা হারিয়ে ফেলবেন বলে আশঙ্কা আফগান মহিলাদের।
তালিবান মুখে নারী অধিকারের স্বীকৃতির কথা বললেও কাজের অধিকারের দাবি থেকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদ জানানো মহিলাদের ওপর নৃশংসতার একের পর এক নজির সামনে আসছে। বুধবার মহিলারা মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তির দাবিতে মিছিল বের করলে তাদের লাঠি, চাবুক মেরে হঠিয়ে দেয়। মেরে গায়ে কালশিটে ফেলে দেয় সাংবাদিকদেরও। ঘটনার ভিডিও, ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মহিলারা স্লোগান দিচ্ছেন, আফগানিস্তানের মেয়েরা দীর্ঘজীবী হোক। কারও হাতে ‘আমি স্বাধীনতার গান গেয়েই যাব’, ‘কোনও সরকার মেয়েদের অস্তিত্ব অস্বীকার করতে পারে না’, লেখা প্ল্যাকার্ডও দেখা যায়।
১৯৯৬-২০০১ পর্বে ক্ষমতায় থাকার সময়ও তালিবান মহিলাদের কাজ করতে দিত না, মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার অধিকার ছিল না, মুখ ঢেকে রাখতে হত সবসময়। পুরুষ সঙ্গী ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরনোর অধিকার ছিল না মেয়েদের।