
আফগানিস্তানে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় ঘটিয়ে চলে গেল! আমেরিকাকে তোপ ‘তালিবান-ঘেঁষা’ চিনের
আমেরিকা বাহিনী তুলে নেওয়া শুরু করতেই দ্রুত ঝড়ের বেগে একের পর এক প্রদেশ কব্জায় এনে রবিবার কাবুলে ঢুকে পড়ে তালিবান।
এক সপ্তাহের মধ্যেই আগের অবস্থান বদলে তালিবানের সঙ্গে সহযোগিতা করতে রাজি হওয়ার ইঙ্গিত দেয় চিনও। চিন একা নয়, আন্তর্জাতিক দুনিয়ার একাধিক দেশ আমেরিকাকে আফগানিস্তানের চলতি পরিস্থিতির জন্য কাঠগড়ায় তুলেছে। তাদের দাবি, মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক অভিযানের ২০ বছর বাদে খাপছাড়া ভাবে সেনা তুলে নিচ্ছে ওয়াশিংটন। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার বাহিনী প্রত্যাহার সমর্থন করে দায়ী করেছেন আফগান বাহিনীকে। তারা নিজেদের স্বার্থে লড়তে আগ্রহী নয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
কিন্তু চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চ্যুনিংয়ের পাল্টা তোপ, ওয়াশিংটন ভয়ঙ্কর অশান্তি, বিভাজন, ভেঙে যাওয়া পরিবার-সব মিলিয়ে একটা বিপর্যয় ঘটিয়ে আফগানিস্তান ছাড়ল। আমেরিকার ভূমিকা, শক্তি গঠনের নয়, ধ্বংসের।
চিনের সঙ্গে আফগানিস্তানের ৭৬ কিমি দীর্ঘ সীমান্ত আছে। চিনের দীর্ঘদিনের ভয়, সীমান্তের জিনজিয়াং প্রদেশের সংখ্যালঘু উইঘুর বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পড়শী দেশ থেকে মদত পেতে পারে। যদিও গত মাসেই একটি শীর্ষস্থানীয় তালিবান প্রতিনিধিদল তিরানজিনে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে দেখা করে ভরসা দেয়, আফগানিস্তানের ভূখন্ডকে কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী, সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে কাজে লাগাতে দেওয়া হবে না। বদলে চিন আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে আর্থিক সহায়তা, বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেয়।
হুয়া সোমবার জানান, চিন তালিবান নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ, সহযোহিতার সম্পর্ক চালিয়ে যেতে তৈরি। তিনি নয়া আফগান শাসকদের ‘আন্তর্জাতিক বাহিনী থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে আফগানিস্তানকে ফের সন্ত্রাসবাদী, জঙ্গিদের ভিড় করার জায়গা হয়ে ওঠা থেকে ঠেকানো’র আবেদন করেন।
বাইডেন ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মার্কিন বাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ফলে দুদশকের সংঘাতের অবসান হবে। কিন্তু আফগান সরকারের পতন ও তালিবানের দ্রুত প্রত্যাবর্তনে আফগানিস্তানের ভবিষ্যত্ ঘিরে প্রবল সংশয়, অনিশ্চয়তা মাথাচাড়া দিয়েছে। তবে চিন বারবার সমালোচনার সুরে বলেছে, আমেরিকা যেভাবে আফগানিস্তান ছাড়ছে, সেটা তার নেতৃত্বেরই ব্যর্থতা পরিচয়।